অলোক মুখোপাধ্যায়ের বাংলা সন্তোষ ট্রফির মূলপর্বে ওঠার পরেও স্বস্তিতে নেই আইএফএ। সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় শুক্রবার থেকেই একজন ভাল স্ট্রাইকারের খোঁজে নামার নির্দেশ পাঠালেন দলের কোচকে।
এ দিন কল্যাণীতে তীব্র চাপ থেকে বেরিয়ে ওড়িশার বিরুদ্ধে ৩-০ জেতার পরেও তাই আরও গোল করার লোকের সন্ধানে নেমে পড়েন বাংলা কোচ অলোক। ম্যাচটা জিততে না পারলে সন্তোষ থেকে ছিটকে যেত সর্বাধিক বারের চ্যাম্পিয়ন বাংলা। তার বদলে মূলপর্বে ওঠার পরেও দলের কোচকে ফোনে বলতে শোনা গেল, ‘‘একজন ভাল স্ট্রাইকার খুঁজছি। ভাবছি সিনিয়র কাউকে যদি নেওয়া যায় টিমে।’’
যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বের প্রথম ম্যাচে সিকিমকে হারালেও অজস্র গোলের সুযোগ নষ্ট করেছিল বাংলা। ওড়িশা ম্যাচেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। প্রথমার্ধে কোনও গোল করতে পারেননি অলোকের ছেলেরা। খেলা শেষ হওয়ার মিনিট পনেরো আগে পেনাল্টি পায় বাংলা। মুমতাজ আখতার তার থেকে গোল করেন। তার পরেই যেন চোখ খোলে বাংলার। একেবারে শেষ দিকে দিব্যেন্দু দুয়ারি এবং নরহরি শ্রেষ্ঠা গোল করায় ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-০। অলোক বললেন, ‘‘অসংখ্য গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে আমার ছেলেরা। ভাল সুযোগ পেয়েও কিপারের হাতে বল মেরেছে। দেখি মূলপর্বের আগে এদের কতটা তৈরি করতে পারি।’’
পয়লা মার্চ সন্তোষের মূলপর্ব শুরু হচ্ছে নাগপুরে। বাংলা কোচ চাইছেন, একটু আগে সেখানে পৌঁছে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। ২৬ ফেব্রুয়ারি হয়তো নাগপুর যেতে পারে বাংলা। এ দিকে, যুব আইএফএ শিল্ডে দ্বিতীয় বিদেশি দল হিসেবে খেলতে আসছে মালয়েশিয়ার এক অ্যাকাডেমি।