ধুমধাম করে এসে নীরবে বেপাত্তা।
আর্থিক টানাটানির ধাক্কায় উধাও-ই হয়ে গেল মোহনবাগানের টিম বাস। সনি নর্ডি, শিল্টন পালদের যুবভারতীতে নিয়ে যাচ্ছে ভাড়া করা বিভিন্ন পর্যটন সংস্থার বাস। যা বাতানুকুলও নয়।
রবিবার মুম্বই এফসি ম্যাচের দিন এই তথ্য আবিষ্কার হওয়ার পর কেঁচো খুড়তে গিয়ে বেরিয়ে পড়ে কেউটে। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে টুটু-অঞ্জনরা যে টিম বাস এনেছিলেন সেটা ক্লাবের নয়। ভাড়া করা!
গত সেপ্টেম্বরে কলকাতা লিগের ম্যাচেও যে বাস দেখা গিয়েছে সেই বাস গেল কোথায়? সচিব অঞ্জন মিত্র বলছেন, “বাসের বাতানুকুল যন্ত্র খারাপ হয়েছে। সারাতে গিয়েছে।” বিগত দু’মরসুম বাগানের লোগো লাগানো সবুজ-মেরুন বাতানুকুল বাস একান্তই নিজেদের টিমের বাহন ভেবে প্রচ্ছন্ন গর্ব ছিল ক্লাব সমর্থকদের। কিন্তু বাগান সচিব এ দিন বললেন, “বাসটা আমাদের ছিল না। স্পনসরদের এক ঠিকাদারের কাছ থেকে ভাড়ায় নেওয়া হত। সেই চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে।”
তিন বছর আগে ১১ ফেব্রুয়ারি আধুনিকতার সঙ্গে তাল মেলাতে, ম্যাচের দিন ফুটবলার ও তাঁদের সাজ-সরঞ্জামসহ যাতায়াতের জন্য সবুজ-মেরুন বাস ঢাকঢোল পিটিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। মজার ব্যাপার হল, সে দিন আই লিগে বাগানের ম্যাচ ছিল মুূম্বই এফসির বিরুদ্ধেই। ক্লাব সূত্রে খবর, অক্টোবর থেকে সেপ্টেম্বর ১১ মাসের চুক্তিতে প্রতি বছর বাসটা ভাড়া নিত ক্লাব। যার জন্য বছরে ভাড়া গুনতে হত লাখ দশেক টাকা। ক্লাবের আর্থিক সমস্যার দিনে ৪৫ আসনের ২৯০ অশ্বশক্তির এই বাসটিকে ‘হাতি পোষা’-র সঙ্গেই তুলনা করছেন কর্তাদের কেউ কেউ। তাই এই আধুনিক বাস বন্ধ করে ম্যাচের দিন কম ভাড়ায় বাস নেওয়ার পক্ষপাতী কর্তারা। তাঁদের যুক্তি, ফুটবলারদের প্রত্যেকেরই গাড়ি রয়েছে। তাদের একটা বড় অংশই গাড়িতে যাতায়াত করে। তাই বাতানুকুল এই টিম বাসের প্রয়োজন নেই। সচিব অবশ্য বলছেন, “সারিয়ে আসার পর বাসের অবস্থা দেখে ভবিষ্যতের কথা ভাবব।” যদিও ক্লাব সূত্রে খবর, খরচ কমাতে সবুজ-মেরুন ওই টিম বাসের তাঁবুতে ফেরার সম্ভাবনা আর নেই বললেই চলে।