রঞ্জি ট্রফি

হলে এখানেই হবে, মন্ত্র বাংলা শিবিরে

‘যদি এই যুদ্ধ জিততে পারো, তা হলে আমরা রঞ্জি ট্রফিতে থাকব। যদি হেরে যাও, সব শেষ।’ উত্তরপ্রদেশ ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগে টিমকে ডেকে সাফ বলে দিয়েছেন অশোক মলহোত্র। এবং যা রঞ্জিতে বাংলার বর্তমান অবস্থানের মোক্ষম সারসংক্ষেপ। পাঁচ ম্যাচে দশ পয়েন্ট নিয়ে বাংলা এখন গ্রুপে ছ’নম্বরে। এই ম্যাচ থেকে ছ’পয়েন্ট তুলতে পারলে যুদ্ধে কোনওমতে টিকে থাকা যাবে। আর পুরো পয়েন্ট না এলে শেষ আটের আশা এ বারের মতো শেষ। গ্রুপের অন্যতম দুর্বল প্রতিপক্ষ উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে জয়ের সম্ভাবনা খাতায়কলমে থাকলেও, বাস্তব পরিস্থিতি একেবারে উল্টো।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:০৭
Share:

‘যদি এই যুদ্ধ জিততে পারো, তা হলে আমরা রঞ্জি ট্রফিতে থাকব। যদি হেরে যাও, সব শেষ।’ উত্তরপ্রদেশ ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগে টিমকে ডেকে সাফ বলে দিয়েছেন অশোক মলহোত্র। এবং যা রঞ্জিতে বাংলার বর্তমান অবস্থানের মোক্ষম সারসংক্ষেপ।

Advertisement

পাঁচ ম্যাচে দশ পয়েন্ট নিয়ে বাংলা এখন গ্রুপে ছ’নম্বরে। এই ম্যাচ থেকে ছ’পয়েন্ট তুলতে পারলে যুদ্ধে কোনওমতে টিকে থাকা যাবে। আর পুরো পয়েন্ট না এলে শেষ আটের আশা এ বারের মতো শেষ। গ্রুপের অন্যতম দুর্বল প্রতিপক্ষ উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে জয়ের সম্ভাবনা খাতায়কলমে থাকলেও, বাস্তব পরিস্থিতি একেবারে উল্টো। বাস্তব হল, গাজিয়াবাদের ঘন কুয়াশায় সকাল এগারোটার আগে ম্যাচ শুরুর আশা প্রায় নেই। বাস্তব হল, আগামী দিনদুয়েক গাজিয়াবাদের আশেপাশে ভাল বৃষ্টির আশঙ্কা।

তবু আশা ছাড়ছেন না লক্ষ্মীরতন শুক্ল। এ দিন সন্ধেয় ফোনে ধরা হলে বাংলা অধিনায়ক জানিয়ে দিলেন, জয় ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভাবছে না তাঁর টিম। গাজিয়াবাদের মোহন মিকিন মাঠের পিচে অল্প ঘাস আছে, তবে গ্রিন টপ নয়। মাঠের আশেপাশে নাকি অনেকটা খোলা জায়গা, তাই সুইংয়ের সম্ভাবনা থাকছে। যার জন্য স্পিনার ইরেশ সাক্সেনাকে বসিয়ে বীরপ্রতাপ সিংহকে প্রথম এগারোয় রাখা হচ্ছে। শ্রীবত্‌স গোস্বামীর জায়গায় আসতে পারেন অলরাউন্ডার সন্দীপন দাসও। লক্ষ্মী বলছিলেন, “সন্দীপন দরকারে বলটাও করে দিতে পারে, তাই ওর কথা ভাবা হয়েছে। কাল সকালে ঠিক করব কে খেলবে।”

Advertisement

সোমবারের ড্রেসিংরুম-বিভ্রাটের পর এ দিন আবার মাঠ নিয়ে কিছুটা গণ্ডগোলে পড়ে বাংলা শিবির। বাংলা এবং উত্তরপ্রদেশের প্র্যাকটিস একই সময় পড়ে যাওয়ায় ছোট মাঠে ট্রেনিং করতে সমস্যা হয় দুটো টিমেরই। তবে এ সবের মধ্যে লক্ষ্মীদের মুখে হাসি ফোটাতে পারে বিপক্ষ টিমের অবস্থা। একে তো আগের ম্যাচে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে বিরাট ব্যবধানে হেরে এসেছে উত্তরপ্রদেশ। পাঁচ ম্যাচ খেলে ঝুলিতে মাত্র সাত পয়েন্ট। তার উপর তাদের হোম অ্যাডভান্টেজ বলে নাকি কিছু থাকছে না। জম্মু-কাশ্মীরের বিরুদ্ধে নিজেদের হোম ম্যাচে টার্নার চেয়েছিল উত্তরপ্রদেশ। পেয়েছিল হার্ড উইকেট।

যে পরিস্থিতি বাংলা টিমের অনেক সদস্যেরই খুব পরিচিত। এবং মরসুমে প্রথম বার যে পরিস্থিতিকে বাংলার অনুকুল মনে হচ্ছে। ঘরের মাঠই যখন বিপক্ষের কাছে প্রবাস-সম, তখন দুই দলের মধ্যে তফাত কমে যেতে বাধ্য। আর তাই বঙ্গ শিবিরে বাড়তি একটা মোটিভেশন ঢুকে পড়েছে হলে, এখানেই হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন