Anit Thapa

পাহাড়বাসীকে বিভেদ রোখার বার্তা অনীতের

অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমি পুজোর দিন কালিম্পঙে একটি মিছিল ঘিরে বিতর্ক দেখা দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২০ ০৮:১৬
Share:

জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা।

সাম্প্রদায়িক বৈষম্য এড়িয়ে পাহাড়বাসীকে একজোট থাকার অনুরোধ করলেন জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা। রবিবার অনীত কালিম্পং যান। সোমবার তিনি জানান, তিন বছর ধরে পাহাড়ে শান্তি রয়েছে। অনেক সমস্যার পর দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সবাই মিলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। তার মধ্যে প্রথমে ধর্ম ব্যবহার করে, এ বার গোর্খা বনাম বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে বলে তাঁর অভিযোগ। এটা চক্রান্ত বলে দাবি করে এ দিন তা রোখার ডাক দিলেন অনীত।

Advertisement

অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমি পুজোর দিন কালিম্পঙে একটি মিছিল ঘিরে বিতর্ক দেখা দেয়। জিটিএ চেয়ারম্যান জানান, রামের পুজো, মন্দির তৈরির জন্য সবাই আনন্দিত। কিন্তু রাস্তায় নেমে আগ্রাসী মনোভাব দেখানো ঠিক নয়। মোর্চা সূত্রের খবর, এর মধ্যে গত সপ্তাহে পাহাড়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়কে নিয়ে নানা কথাবার্তা শুরু হয়। মোর্চার এক নেতা পাহাড়ের সংখ্যালঘু, অবাঙালিদের বহিরাগত বলে মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। পাল্টা অবাঙালি সম্প্রদায়ের তরফে এর কড়া বিরোধিতা করে বক্তব্য রাখা হয়। এর বাইরেও বিষয়টি নিয়ে সূক্ষভাবে রাজনীতির চেষ্টা চলছে বলে মোর্চা নেতাদের একাংশ মনে করছেন।

এ দিন কালিম্পঙে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরের লোকজনের সঙ্গেও কথা বলেন অনীত। তিনি বলেন, ‘‘আমরা নতুন এবং উন্নত দার্জিলিং, কালিম্পং তৈরির স্বপ্ন নিয়ে কাজে নেমেছি। সবাই একজোট না হলে লক্ষ্য মিলবে না।’’ তাঁর বক্তব্য, গোর্খারা পাহাড়ের আদি বাসিন্দা বটেই। কিন্তু বাকিরাও পাহাড়বাসী। তিনি বলেন, ‘‘লকডাউনের সময় রাস্তায় নেমে যাঁরা স্লোগান দিয়েছিল, তাঁদের বলব পাহাড়ে এই পথ চলবে না।’’

Advertisement

বিনয়পন্থী মোর্চার একটা অংশের আশঙ্কা, পাহাড়ে জাতিগত বিভেদ তৈরিতে একদল সক্রিয়। গোর্খাদের আলাদা রাজ্য, স্বশাসন, তফশিলি জাতি-উপজাতির কথা তাঁরা বলছেন। আর গোর্খা নন এমন সম্প্রদায়ের সঙ্গে ভেদাভেদ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।

জিটিএ চেয়ারম্যান শুরুতেই এটা বন্ধ করতে চাইছেন। তাঁর কথায়, নেতিবাচক চিন্তা, আলোচনা বন্ধ করে উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, যোগাযোগ নিয়ে আলোচনা করুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন