Smartwatch

হার্ট অ্যাটাক থেকে ঘুমের অভ্যাস, স্বাস্থ্যের হালহকিকত কতটা সঠিক ভাবে জানাতে পারে স্মার্টওয়াচ?

ব্যবহারকারীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য কতটা সঠিক ভাবে দিতে পারে স্মার্টওয়াচ? এই গ্যাজেট হাতে বাঁধা থাকলে কী কী সুবিধা পাবেন গ্রাহক? আনন্দবাজার ডট কমের এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫ ১৬:০৬
Share:

—প্রতীকী ছবি।

স্মার্টওয়াচের প্রতি গ্যাজেটপ্রেমীদের রয়েছে প্রবল আকর্ষণ। কিন্তু প্রযুক্তিবিদদের একাংশের দাবি, মোটা টাকা খরচ করে এটা কেনা মোটেই লাভজনক নয়। এর নেপথ্যে একাধিক কারণের কথা বলেছেন তাঁরা। প্রথমত, ব্যবহারকারীর শরীরের যাবতীয় রিডিং সেন্সরের মাধ্যমে নিয়ে থাকে স্মার্টওয়াচ। ঘড়ি গ্যাজেটটি চামড়ার নীচের রক্তপ্রবাহ মাপতে সক্ষম। স্মার্টওয়াচের পিছনের অংশে যে সবুজ রঙের আলো জ্বলে তাই দিয়েই বিভিন্ন রকমের রিডিং নিয়ে থাকে সংশ্লিষ্ট গ্যাজেট।

Advertisement

কিন্তু, এ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর গায়ের রঙের উপর স্মার্টওয়াচের রিডিং নির্ভরশীল। গ্রাহক বেশি ফর্সা হলে ঘড়ি গ্যাজেটটি যে ভাবে কাজ করবে, কৃষ্ণবর্ণের কোনও ব্যক্তির ক্ষেত্রে সেটা না-ও হতে পারে। এ ছাড়া কব্জিতে কতটা শক্ত করে স্মার্টওয়াচটিকে বাঁধা হচ্ছে বা চামড়ার উপরে কোনও উল্কি আছে কি না, এ সব কিছুই রিডিং গ্রহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ফলে এই গ্যাজেটের থেকে ভুল তথ্য পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

স্মার্টওয়াচের মাধ্যমে ব্যবহারকারী সারা দিনে তাঁর শরীরের কতটা ক্যালোরি খরচ হয়েছে বা কাজের জন্য কতটা স্ট্রেস নিয়েছেন, সেটা জানতে পারেন। কিন্তু প্রযুক্তিবিদদের দাবি, এগুলির কোনওটাই বাস্তবোচিত নয়। কারণ ঘড়ি গ্যাজেটটি এ সব কিছু মাপে আগে থেকে সফ্‌টঅয়্যারে সেট করা অ্যালগরিদম দিয়ে। ফলে সঠিক তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।

Advertisement

স্মার্টওয়াচ কোথায় পরা হচ্ছে, তার উপরেও এর রিডিং অনেকাংশে নির্ভর করে। কেউ ঘড়ি কব্জির কিছুটা উপরের দিকে পরেন। কেউ আবার নীচু করে। এ ছাড়া ঘড়িটি হাতে থাকাকালীন সেখানে ঘাম জমতে পারে। এগুলি সবই গ্যাজেটটির রিডিং গ্রহণের প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে।

ব্যবহারকারী খুব দ্রুত দৌড়তে থাকলে বা ঘন ঘন হাত নাড়াচাড়া করলে স্মার্টওয়াচের তথ্য ভুল আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে হালকা শরীরচর্চার উৎসাহ বা ঘুমের অভ্যাস বুঝতে গেলে এই গ্যাজেটটির বেশ ভাল উপযোগিতা রয়েছে। পাশাপাশি, মোবাইল ছাড়া এর মাধ্যমে কল করা বা গান শোনার মতো কাজ অনায়াসেই সেরে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

হৃৎস্পন্দন বেড়ে গেলে বা কমে গেলে খুব দামি স্মার্টওয়াচ সেই তথ্য দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী আগাম সাবধান হতে পারবেন। প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে বিপদসঙ্কেত বা এসওএস (সেভ আওয়ার সোল) পাঠানোর সুবিধা আছে এই ঘড়ি গ্যাজেটের। তবে এটি কোনও চিকিৎসা সরঞ্জাম নয়। স্মার্টওয়াচের সমস্ত তথ্যই আনুমানিক। ফলে তার উপর ভরসা করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement