এয়ার ফ্রায়ার কেনার আগে জানুন এর সুবিধা-অসুবিধা। —প্রতীকী ছবি।
কোলেস্টেরলের কথা মাথায় রেখে এক ফোঁটাও তেল ব্যবহার নয়। অথচ চাই মুচমুচে ভাজা! মুশকিল আসান করতে এসে গিয়েছে এয়ার ফ্রায়ার। ইতিমধ্যেই অনেকের রান্নাঘরে জায়গা করে নিয়েছে এই যন্ত্র। কিন্তু, চকচক করলেই যেমন সোনা নয়, তেমনি এয়ার ফ্রায়ার সম্পূর্ণ ভাবে তেল বিহীন রান্না করতে সক্ষম, সেকথা বলা যাবে না। তা ছাড়া সংশ্লিষ্ট ডিভাইসটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে রয়েছে একাধিক ঝক্কি। যার বিস্তারিত বিবরণ রইল আনন্দবাজার ডট কম-এর এই প্রতিবেদনে।
এয়ার ফ্রেয়ারে তেল ছাড়া কোনও কিছু ভাজা যায়, এই ধারনা ভুল। এটিকে একটা ছোট খাটো কনভেকশন ওভেন বলা যেতে পারে। অর্থাৎ এর ভিতরে গরম হাওয়ার খাবারের চারপাশে ঘোরার ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে খাবারের বাইরের দিকটা মুচমুচে হলেও ভিতরের অংশটা শুকিয়ে যায়। কতকটা ড্রাই বেকিংয়ের মতো। উদাহরণ হিসাবে চপ, বেগুনি বা পাকোড়ার কথা বলা যেতে পারে।
আর তাই শুকনো খাবার তৈরির জন্য এয়ার ফ্রায়ারকে আদর্শ বলা যেতে পারে। যন্ত্রটির দ্বিতীয় অসুবিধা হল, এতে রান্না করতে সময় লাগে অনেক বেশি। ভিতরের চেম্বারটা ছোট হওয়ায় একসঙ্গে অনেকটা খাবার এয়ার ফ্রায়ারে দেওয়া যায় না। মাত্র চার জনের জন্য ফ্রেঞ্চ ফ্রাই (পড়ুন আলু ভাজা) ভাজতে গেলে এই যন্ত্রে আলাদা আলাদা করে সেটা তিনবারে করতে হবে। এ ছাড়া রান্নার সময়ে প্রিহিটিং এবং কুলিংয়ের কথা মাথায় রাখতে হবে ব্যবহারকারীকে। পাশাপাশি নিয়মিত ট্রে পরিষ্কারের ঝক্কিও রয়েছে এয়ার ফ্রায়ারে।