Johor Bahru

পুজোর পরে ঘুরে আসুন জহর বাহরু থেকে

দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্প ও বানিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু। বাকি শহরগুলির থেকে জহর বাহরুকে আলাদা করে তুলেছে। চলুন জেনেনি জহর বাহরু-তে গিয়ে আপনি কী কী করতে পারবেন।

Advertisement

বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৭:৪৪
Share:

জহর বাহরু। কলকাতাবাসীর অনেকের কাছেই হয়তো নামটা অচেনা। আবার অনেকে হয়তো বেশ ভাল ভাবেই চেনেন এই শহরটিকে। সে যাই হোক না কেন, দেশের দক্ষিণে অবস্থিত মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হল এই জহর বাহরু। মালয়েশিয়ার অন্যান্য শহরগুলির থেকে একটু আলাদাই এই শহরটি। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্প ও বানিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু। আর এই নিজস্বতাই বাকি শহরগুলির থেকে জহর বাহরুকে আলাদা করে তুলেছে। চলুন জেনেনি জহর বাহরু-তে গিয়ে আপনি কী কী করতে পারবেন।

Advertisement

জহর বাহরু-তে গিয়ে যে জায়গাগুলিতে না গেলেই নয়

লেগোল্যান্ড:

Advertisement

২০১২-তে প্রথম এই পার্কটি চালু হয়। গোটা মালয়েশিয়াতে এটাই প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক স্তরের থিম পার্ক। পার্কটি অবস্থিত নুসা ক্যামেরল্যাং ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায়। ৪০টির বেশি আকর্ষণীয় রাইড এবং শো আপনি এখানে দেখতে পাবেন। ২০১৩-তে এখানে ওয়াটার পার্কও চালু হয়। শুধু তাই নয়, আপনি চাইলে এখানে থাকতেও পারেন।


ছবি: images.trvl-media.com

জহর বাহরু সিটি স্কোয়্যার

জহর বাহরু বেড়াতে গেলে এই সিটি স্কোয়্যার আপনার চোখে পড়তে বাধ্য। শহরের ঠিক মাঝখানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে এই মলটি। ২০০টিরও বেশি বিভিন্ন দোকান রয়েছে এখানে। যদি শপিং আপনার ভাল লাগে, তবে এই জায়গা আপনার জন্য আদর্শ।


ছবি: www.johornow.com

সুলতান আবু বকর মসজিদ

এই মসজিদটি ৫৩.৮ হেক্টর জুড়ে ছড়ানো। সেই সঙ্গেই রয়েছে সুন্দর ঘাসছাটা লন। এই প্রাসাদে নিও-ক্লাসিক যুগের স্থাপত্য-শৈলী চিত্রিত। এখানে অনেক জহর রাজকীয় পরিবারের নৃতাত্বিক নিদর্শন রয়েছে যেগুলি সুলতান আবু বকর ও তাঁর পুত্র এবং সুলতান ইব্রাহিম তাঁদের ভ্রমণের সময় সংগ্রহ করেছেন। একটি জাপানি উদ্যান ও একটি জাপানি চা বাগানের রেপ্লিকা রয়েছে প্রাসাদের কাছে, যেটা হল জহরের সুলতানের প্রতি জাপানের ক্রাউন প্রিন্সের পক্ষ থেকে একটা উপহার।

ছবি: dome.mit.edu

দ্য লিটল বিগ ক্লাব

এটিও একটি থিম পার্ক যেখানে আপনি আপনার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করবেন। বাচ্চাদের জন্য তো এই পার্কটি আদর্শ। পিঙ্গু থেকে অ্যাঞ্জেলিনা ব্যালেরিনা, রয়েছে হরেক কিসিমের কস্টিউমও। আর রয়েছে বব দ্য বিল্ডার জোন যেখানে বাচ্চারা ববকে সাহায্য করবে বাড়ি তৈরি করতে।

ছবি: i.ytimg.com

স্যানরিও হ্যালো কিটি টাউন

বিশ্বে খুব কম মানুষই রয়েছেন যারা হ্যালো কিটি-কে চেনেন না। কিন্তু যারা চেনেন তাঁদের জন্য এই থিম পার্ক আদর্শ। পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার জন্য এই পার্ক আদর্শ। লেগোল্যান্ড থেকে মাত্র কয়েক মিনিটের দূরত্বেই এই পার্ক অবস্থিত। পাশাপাশি জাপানের পরে এই থিম পার্কটিই হল প্রথম স্যানরিও হ্যালো কিটি থিম পার্ক।

ছবি: blogspot.com

জহর ওল্ড চাইনিজ মন্দির

শুধু মাত্র চাকচিক্যই নয়, পুরাতনও ঠাঁই পেয়েছে এই শহরে। যেমন ধরুন জহর ওল্ড চাইনিজ মন্দির। ১৯৯০ সালের এটি মন্দিরটি যেন নতুনের মাঝে পুরাতনকে তুলে ধরেছে। এই মন্দিরটি পাঁচটি চাইনিজ সম্প্রদায়কে এক করেছে।

ছবি: wikimedia.org

অরুলমিংগু শ্রী রাজাকালিয়ামান গ্লাস মন্দির

অরুলমিংগু শ্রী রাজাকালিয়ামান গ্লাস মন্দিরটি হল অন্যতম সেরা আকর্ষণ। এটিই হল মালেশিয়ার একমাত্র কাচের মন্দির। ১৯২২ সালে এই মন্দিরটি তৈরি হয়। ১৯৯০ সালে মন্দিরটিকে নতুন ভাবে তৈরি করা হয়।

ছবি: travelmagma.com

তা হলে কী ভাবছেন? এই পুজোর পরেই গিয়ে ঘুরে আসতে পারেন জহর বাহরু। আর এয়ার এশিয়ার অফার তো রয়েছেই। মাত্র ৩৬৯৯ টাকায় আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন জহর বাহরু-তে। আর আগেভাগে এয়ার এশিয়ার বাস বুক করতে ভুলবেন না যেন।

তা হলে আর দেরি কেন? ব্যাগ গুছিয়ে রওনা দিন মালয়েশিয়ার উদ্দেশে। অফার কিন্তু সীমিত সময়ের জন্য।

যাত্রা শুভ হোক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন