সমুদ্রসৈকতে সফরের টিপ্স। ছবি: সংগৃহীত।
সমুদ্রতটে ছুটি কাটাতে যাচ্ছেন? বাঁধভাঙা হাওয়া, দিগন্তবিস্তৃত জল। তবে এই আনন্দে মাঝেমধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বালি। সমুদ্রতটের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু কখনও সখনও তার রেশ থেকে যায় বাড়ি ফেরার পরেও। জামাকাপড়, ব্যাগ, খাবার— সবেতেই থেকে যায় সমুদ্রতটের চিহ্ন। এমনকি, বাদ যায় না মোবাইল ফোনও। বার বার ঝেড়ে নিলেও লাভ হয় না। তবে কিছু কৌশল মেনে চললে বালির এই অনধিকার প্রবেশ থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
সঠিক জায়গা বেছে নিন
অতিরিক্ত ভিড় থেকে একটু দূরে বসুন। যাতে মানুষের যাতায়াতে বালি বেশি না উড়তে পারে। খেয়াল রাখুন, বাতাস সমুদ্রের দিক থেকে বইছে কি না। যদি স্থলভাগের দিক থেকে বাতাস আসে, তবে বালি সহজেই আপনার দিকে উড়ে আসবে। আর সাগরের একেবারে ধার ঘেঁষে বসা এড়িয়ে চলাই ভাল।
কিছু কৌশল মেনে চললে বালির অনধিকার প্রবেশ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ছবি: সংগৃহীত।
বালি রোধ করে, এমন মাদুর ব্যবহার করুন
তোয়ালে বা তুলোর কাপড়ে বালি আটকে যায়। তার বদলে পাতলা কাপড় বা বিশেষ ভাবে তৈরি বালিরোধী মাদুর ব্যবহার করলে বালি সহজেই ঝরে যায়।
মাদুরের কোণ চাপা দিয়ে রাখুন
বালিরোধী মাদুরের চারটি কোনায় ভারী কিছু দিয়ে চেপে রাখলে বাতাসে উড়ে এসে বালি ঢুকতে পারবে না। যেমন, বরফ রাখা বাক্স, ফলের ঝুড়ি বা ভর্তি বোতল।
মূল্যবান জিনিস সুরক্ষিত রাখুন
মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, চশমা বা চাবি আলাদা জলরোধী থলেতে রাখুন। সেই থলেগুলি মাদুরের নীচেও চাপা দিয়ে রাখতে পারেন। এতে বালি ঢুকবে না, আবার চুরি হওয়ার সম্ভাবনাও কমবে।
সিল করা ব্যাগ ব্যবহার করুন
খাবার, নোটবই, বা ছোটখাটো জিনিসপত্র সিল করা ব্যাগে রাখলে বালি ঢোকার সম্ভাবনা থাকে না এবং পরে ব্যবহারও সুবিধাজনক হয়।
ক্রমাগত ঝাড়তে থাকুন
কাপড়, ব্যাগ বা জুতোতে বালি জমে থাকলে তা দ্রুত ঝেড়ে ফেলুন। এতে বালি বেশি ক্ষণ স্থায়ী হতে পারে না।
আরামদায়ক পোশাক বেছে নিন
সৈকতের জন্য হালকা পোশাক ও চপ্পলই উপযুক্ত। তবে খেয়াল রাখুন, পোশাকে যেন বেশি পকেট না থাকে। নয়তো কখন জল ও বালি পকেটে ঢুকে থাকবে, টেরও পাবেন না। পরে পকেট থেকে বালি বার করতে গিয়ে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হবে।
সৈকত ভ্রমণের আনন্দে যেন বালির ঝক্কি বেশি পোহাতে না হয়। সামান্য সচেতন থাকলেই আপনার ভ্রমণ হয়ে উঠবে আরও সমুদ্রের হাওয়ার মতোই বাঁধনহীন ও মুক্ত।