Sitong

বিয়ে তো হয়েছে, কিন্তু মধুচন্দ্রিমার জায়গা ঠিক হয়নি? সঙ্গীকে নিয়ে যেতে পারেন সিটং

বিয়ের পর নতুন মানুষটিকে আলাদা করে জানা-বোঝার প্রয়োজন পড়ে। তার জন্য আদর্শ সময় হল মধুচন্দ্রিমা। এই শীতে সম্পর্কের উষ্ণতা বাড়াতে দু’জনে মিলে পাড়ি দিতে পারেন সিটং-এর উদ্দেশে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:২৫
Share:

নির্জনতা দিয়ে ঘেরা এই গ্রামে সঙ্গীর হাতে হাত রেখে হারিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। ছবি: শাটারস্টক।

চলছে বিয়ের মরসুম। বাতাসে ভেসে আসছে সানাইয়ের সুর। প্রেম পরিণতি পাচ্ছে ছাঁদনাতলায়। আবার কেউ সদ‍্য পরিচিত সঙ্গীর সঙ্গে শুরু করছেন নতুন জীবন। বিয়ে প্রেম করে হোক কিংবা সম্বন্ধ করে, বিয়ের পর নতুন মানুষটিকে আলাদা করে জানা-বোঝার প্রয়োজন পড়ে। তার জন্য আদর্শ সময় হল মধুচন্দ্রিমা। এই শীতে সম্পর্কের উষ্ণতা বাড়াতে দু’জনে মিলে পাড়ি দিতে পারেন সিটং-এর উদ্দেশে।

Advertisement

উত্তরবঙ্গের অন্যতম বিখ্যাত শহর মংপু থেকে সিটং-এর দূরত্ব মাত্র আট কিলোমিটার। মহানন্দা অভয়ারণ্য থেকে সিটং পৌঁছতে পাড়ি দিতে হবে প্রায় তেরো কিলোমিটার পথ। পাহাড়ি নদী রিয়াং-এর অববাহিকায় গড়ে উঠেছে এই ছোট্ট গ্রাম। সিটংকে ঘিরে রয়েছে কার্শিয়াং, কালিম্পং, সিকিম ও ভুটান।

সিটং-এর কমলালেবু জগৎবিখ্যাত। তাই সিটং যেতে হলে সব সময় শীতে যাওয়াই ভাল। কারণ এই সময়েই কমলালেবুতে ছেয়ে যায় গোটা গ্রাম। সূর্যাস্তের মতো কমলা আভা যেন সব সময় চোখে লেগে থাকে। নির্জনতা দিয়ে ঘেরা এই গ্রামে সঙ্গীর হাতে হাত রেখে হারিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। রং-তুলি দিয়ে ক্যানভাসে আঁকা ছবির মতো গ্রাম সিটং। সেই সঙ্গে বন্যতা তো রয়েছেই। কমলালেবুর বাগান আর ভেসে আসা সাদা মেঘ— রঙের খেলায় আপনি কখন হারিয়ে যাবেন, বুঝতে পারবেন না। পাহাড়ের গায়ে বেয়ে বয়ে যাচ্ছে উচ্ছল কিশোরীর মতো রিয়াং নদী। সেই সঙ্গে রয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘার হাতছানি তো রয়েছেই। পাহাড়ে ঝুপ করে সন্ধে নামে। তাই সিটং ঘুরতে হবে সারা দিন ধরে। তবে রাতেও সিটং বড় মায়াবী। অন্ধকারে উড়ে বেড়ানো জোনাকি আর মিষ্টি ঠান্ডা বাতাসে প্রেম গাঢ় হবে।

Advertisement

কী ভাবে যাবেন? শিয়ালদহ কিংবা হাওড়া থেকে দূরপাল্লার ট্রেনে করে পৌঁছতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে চলে যেতে পারেন সিটং। তা ছাড়া দার্জিলিং কিংবা কালিম্পং থেকেও সিটং যাওয়া যায়।

কোথায় থাকবেন? সিটং-এ হোম স্টের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তবে হোটেল এবং সুন্দর কিছু রিসর্টও আছে। যাওয়ার আগে দেখেশুনে কোনও একটি বুক করে নিলেই হল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন