Uttar Pradesh

শৌচাগারে কমোডে বসতেই প্রবল বিস্ফোরণ! আগুনে পুড়ল তরুণের মুখ ও নিম্নাঙ্গ, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা

আহত তরুণের বাবা সুনীল প্রধান সংবাদমাধ্যমে জোর দিয়ে বলেন, দুর্ঘটনার সময় আশু মোবাইল বা কোনও রকম বৈদ্যুতিন যন্ত্র ব্যবহার করছিলেন না। তাই সেই ধরনের কোনও বস্তু থেকে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন তরুণের বাবা। প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, বাড়িতে কোনও বৈদ্যুতিক সমস্যা ছিল না।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২৫ ১৪:২৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

সকালে উঠে প্রাতকৃত্য সারতে শৌচাগারে গিয়েছিলেন তরুণ। কমোডে বসতেই প্রবল বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণে তরুণের মুখ ও শরীরের নিম্নাংশ গুরুতর জখম হয়েছে। অদ্ভুত এই ঘটনাটি ঘটেছে নয়ডার ৩৬ নম্বর সেক্টরে। তরুণের শরীরের প্রায় ৩৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আশু প্রধান নামের ওই তরুণকে দ্রুত গ্রেটার নয়ডার সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

Advertisement

আশুর বাবা সুনীল প্রধান সংবাদমাধ্যমে জোর দিয়ে বলেন, দুর্ঘটনার সময় আশু মোবাইল বা কোনও রকম বৈদ্যুতিন যন্ত্র ব্যবহার করছিলেন না। তাই সেই ধরনের কোনও বস্তু থেকে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন তরুণের বাবা। প্রাথমিক তথ্যে জানা গিয়েছে, বাড়িতে কোনও বৈদ্যুতিক সমস্যা ছিল না, যার কারণে বিস্ফোরণের ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। বাড়ির শীতাতপ যন্ত্র এবং অন্য সমস্ত যন্ত্রপাতি ঠিকঠাক কাজ করছিল।

তবে কী থেকে ঘটল এই মারাত্মক ঘটনাটি? এই ধরনের দুর্ঘটনা যে কোনও জায়গায় ঘটতে পারে। বিশেষ করে যে সব বাড়িতে পুরনো প্লাম্বিং সিস্টেম রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণহীন অবস্থায় থাকলে সেই সব বাড়ির শৌচাগারে এই ধরনের ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বিস্ফোরণের সবচেয়ে সম্ভাব্য কারণ হল মিথেন গ্যাসের আধিক্য। পুরনো পাইপে মিথেন গ্যাস জমতে জমতে কোনও ভাবে আগুনের ফুলকির সংস্পর্শে এসে তা বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই মনে করছেন, এখানকার পয়ঃনিষ্কাশন পাইপগুলি কেবল পুরনোই নয়, বছরের পর বছর ধরে সেগুলি পরিষ্কারও করা হয়নি। আটকে থাকা পাইপগুলিতে গ্যাস জমা হতে পারে। পরে চাপের মুখে সেই গ্যাসে বিস্ফোরণ ঘটেছে। রসায়নের এক অধ্যাপক জানিয়েছেন, বাথরুমের জায়গা সীমিত হলে পয়ঃনিষ্কাশন পাইপে মিথেন জমা হতে পারে। বিশেষ করে যখন নর্দমা বন্ধ থাকে বা বায়ু চলাচল অপর্যাপ্ত হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement