delivery in school

আলস্যে ঘুম থেকে উঠতে দেরি, সন্তানকে স্কুলে পৌঁছে দিতে ডেলিভারি কর্মী ভাড়া করলেন মা!

তরুণী সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন, শীতকালের সকালে বিছানা ছেড়ে উঠতে অস্বস্তি বোধ করেন। এজন্য তিনি তাঁর সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি ‘ডেলিভারি রাইডার’ ভাড়া করে থাকেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:০২
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠতে আলস্য। সন্তানকে স্কুলে পাঠানোর জন্য অভিনব উপায় বের করলেন মা। সকাল সকাল স্কুলে পৌঁছনোর জন্য ডেলিভারি সংস্থার শরনাপন্ন হলেন এক তরুণী। সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব একটি ডেলিভারি সংস্থার কর্মীর উপর ছেড়ে দিয়েছেন ওই অভিভাবক। অচেনা ব্যক্তির উপর ভরসা করেই প্রতিদিনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় বের করে নিয়েছেন তিনি। দক্ষিণ চিনের গুয়াংজি প্রদেশের ঘটনা এটি। ওই তরুণী সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন, শীতকালের সকালে বিছানা ছেড়ে উঠতে অস্বস্তি বোধ করেন। এজন্য তিনি তাঁর সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি ‘ডেলিভারি রাইডার’ ভাড়া করে থাকেন। এই ঘটনা সমাজমাধ্যমে পোস্ট হতেই সামাজিকমাধ্যমে শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

Advertisement

‘দ্য পোস্ট’ নামের সংবাদমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে লেখা হয়েছে, চিনেরই বেশ কিছু অভিভাবক সন্তানদের স্কুলে নিয়ে যাওয়ার ঝামেলা এড়াতে এই সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। চিনেরই হেনান প্রদেশের বাসিন্দা ঝেং নামের এক তরুণী সমাজমাধ্যমে জানান, কর্মক্ষেত্র থেকে রাত করে বাড়ি ফেরার কারণে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন। সকালে তিনি সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যেতে পারেন না। প্রায়ই ‘ডেলিভারি রাইডার’দের সহায়তা নিতে হয় তাঁকে। অপরিচিত ব্যক্তির হাত সন্তানকে তুলে দিয়ে কী ভাবে নিশ্চিন্ত থাকেন? সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি লেখেন “রাইডারের ব্যবহার খুবই ভাল, তিনি আমার সন্তানকে নিরাপদে স্কুলে পৌঁছে দেন ও প্রমাণস্বরূপ ভিডিয়ো পাঠান।” ঝেং আরও বলেন তাঁর বাড়িটি স্কুলের খুব কাছাকাছি এবং নামী লজিস্টিক সংস্থার পেশাদার প্রশিক্ষিত রাইডারদের তিনি বেছে নেন। তাই নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ নেই তাঁর। দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের চেংদুর আর এক অভিভাবক জানান, বৃষ্টির সময় তাড়াহুড়ো থাকলে এই পরিষেবা বেছে নেন।

বিষয়টি নিয়ে সমাজমাধ্যমে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এক জন নেটাগরিক উদ্বেগ প্রকাশ করে লিখেছেন “ডেলিভারি রাইডাররা প্রায়শই তাড়ার মধ্যে থাকেন এবং দ্রুত গতিতে গাড়ি বা ই-বাইক চালান। যা একটি শিশুর পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক। অন্য একজন বলেছেন “একটি শিশু অমূল্য। দুর্ঘটনা ঘটলে বা শিশু নিখোঁজ হলে কে দায়ী, অলস বাবা-মা না দায়িত্বজ্ঞানহীন রাইডার?’’ যদিও চিনে এই ধরনের পরিষেবা বেআইনি। ধরা পড়লে বিপুল জরিমানা দিতে হতে পারে ডেলিভারি সংস্থার কর্মীকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement