Treasure Hunt

জঙ্গলে ঘুরতে ঘুরতে মিলল যকের ধন! মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এল দেড় হাজার বছরের পুরনো গয়না, রাশি রাশি মুদ্রা

গত জুন মাসে পোল্যান্ডের একটি দল কালিশ শহরের সন্নিকটে একটি জঙ্গলে হালকা ভাবেই গুপ্তধনের খোঁজ করতে বেরিয়েছিলেন। তাঁদের আশা ছিল ইতিহাসের কিছু নিদর্শনের দেখা মিলবে সেখানে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২৫ ১৩:৪৪
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

খেলাচ্ছলে গুপ্তধন খুঁজতে গিয়ে হাতে এল কুবেরের সম্পদ! মিলল দেড় হাজার বছর আগের খাঁটি সোনার হার ও ৬৩১টি মুদ্রা। সোনার হারটির ওজন ২২২ গ্রাম। সেটি ভাঁজ করে একটি মাটির পাত্রে রাখা হয়েছিল। জুন মাসে পোল্যান্ডের একটি দল কালিশ শহরের সন্নিকটে একটি জঙ্গলে হালকা ভাবেই গুপ্তধনের খোঁজ করতে বেরিয়েছিলেন। তাঁদের আশা ছিল ইতিহাসের কিছু নিদর্শনের দেখা মিলবে সেখানে। খানিকটা মজা করেই গুপ্তধনের সন্ধানে বার হয়েছিল দলটি। পাঁচ সপ্তাহের অনুসন্ধান পর্বের শেষে দলটির ভাগ্যে জুটেছে শতাব্দীপ্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলি। পোল্যান্ডের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার বলে মনে করা হচ্ছে এটিকে।

Advertisement

অনুসন্ধানকারী দলটি নিজেদের ‘ডেনার কালিশ’ বলে পরিচয় দিয়েছে। জঙ্গলের মধ্যে প্রথমে এক রোমান যোদ্ধার সমাধি খুঁজে পান দলের সদস্যেরা। দেহাবশেষ, তাঁর বর্শা এবং ঢালের কিছু অংশ পাওয়া গিয়েছে সেই প্রাচীন কবরে। কয়েক দিন পরে দলটি একাদশ শতাব্দীর একটি মুদ্রা এবং একটি ছোট মাটির পাত্র আবিষ্কার করে। কালিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন পাত্রটি খোলা হয়, তখন তাতে ৬৩১টি মুদ্রা পাওয়া যায়। জুনের শেষের দিকে মাটি খুঁড়ে মুদ্রাভর্তি আরও একটি মাটির পাত্র পাওয়া যায়।

অনুসন্ধানকারীরা আসল সাফল্যের স্বাদ পান ১২ জুলাই। দলের সদস্য মাতেউস মাটির নীচে প্রথম সোনার ঝলকানি দেখতে পান। তিনি ভেবেছিলেন এটি একটি ব্রেসলেট। পরে মাটির পাত্র থেকে সেটি বার করা পর দেখা যায় সেটি মোটা সোনার হার। হারটি সম্পূর্ণ অক্ষত ছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, উদ্ধার হওয়া এই হারটি গথিক শিল্পরীতিতে তৈরি। উদ্ধার হওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলি কালিশ জাদুঘরে প্রদর্শিত হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement