বাঙালি মানেই মাছে-ভাতে? খাবারের ছাপ মেরে দেওয়া সমাজের বিরুদ্ধে হঠাৎ সরব টুইটার

দিন কয়েক খাদ্যাভ্যাস নিয়ে একটি নতুন ট্রেন্ড তৈরি হয়েছে সমাজ মাধ্যমে। অনেককেই দেখা যাচ্ছে চারটি ছবির একটি কোলাজ পোস্ট করতে। চারটি ছবিই খাবারের। আর প্রত্যেকটি ছবি একই খাবারের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৩ ২৩:০৮
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

মাছ ভাত ফেলেই বিরিয়ানি খায় বাঙালি। আবার লখনউয়ে রোজ সকালে নিহারি দিয়ে প্রাতরাশ সারা খাদ্যরসিককে বাংলার শুক্তো, ঝাল মুড়ি, পোস্ত খেয়ে বাহা বাহা করতে দেখা গিয়েছে। ইডলি দোসায় পেট ভরাতে চাওয়া পঞ্জাবী বা মোমোপ্রেমী দক্ষিণীও খুঁজলে অনেক পাওয়া যাবে। তা সত্ত্বেও এক একটি প্রদেশের মানুষকে তাঁদের খাদ্যাভ্যাস দিয়ে চিহ্নিত করি আমরা। কখনও সখনও তা নিয়ে কটাক্ষ করতেও পিছপা হই না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভুল ধারণা পোষণ করি। সম্প্রতি তেমনই কিছু ভুল ধারণার বিরুদ্ধে সরব হল টুইটার।

Advertisement

দিন কয়েক খাদ্যাভ্যাস নিয়ে একটি নতুন ট্রেন্ড তৈরি হয়েছে সমাজ মাধ্যমে। অনেককেই দেখা যাচ্ছে চারটি ছবির একটি কোলাজ পোস্ট করতে। চারটি ছবিই খাবারের। আর প্রত্যেকটি ছবি একই খাবারের। তবে চারটি ছবির নীচে ক্যাপশন বা বিবরণী আলাদা। ধরা যাক এক থালা ইডলির ছবি পোস্ট করা হয়েছে। সেই একই ছবির নীচে চার জায়গায় লেখা— প্রাতরাশ, মধ্যাহ্ন ভোজ, জল খাবার, নৈশাহার। কিন্তু একই খাবার সারা দিনে চার বার কি কেউ খেতে পারে? এই প্রশ্ন ওঠাতেই পোস্ট করা হচ্ছে এ ধরনের ছবি।

ছবির সঙ্গে পোস্ট করা হচ্ছে একটি ব্যাখ্যাও। তাতে লেখা থাকছে, "আমি দক্ষিণ ভারতীয় জানার পর, আমার খাবার অভ্যাস সম্পর্কে লোকে যা ভাবে।" বা "আমি বাঙালি জানার পর লোকে আমার খাদ্যাভ্যাস নিয়ে যা ভাবে"। এই ভাবেই পঞ্জাবি, গুজরাটি, রাজস্থানবাসীরা তাদের প্রাদেশিক বহুল প্রচলিত খাবারের ছবি পোস্ট করে বুঝিয়েছেন, এই খাবারের বাইরেও অন্য খাবার জমিয়ে খান তাঁরা। তাই গুজরাটি মানেই খাখরা-থেপলা, মুম্বই মানেই বড়াপাঁও প্রেমী ভেবে দাগিয়ে দেওয়ার কোনও কারণ নেই।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন