ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
পাত্রী গুরুতর অসুস্থ, টাইফয়েডে আক্রান্ত। পাত্র তাঁর সঙ্গে বিয়ে সারলেন নার্সিংহোমে গিয়ে। নার্সিংহোমের মধ্যেই পাত্রীকে কোলে তুলে নিয়ে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন তিনি। অবাক করা সেই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের রাজগড়ে। ঘটনাটির একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অক্ষয়তৃতীয়ার দিন মধ্যপ্রদেশের রাজগড়ে বিয়ের আসর বসার কথা ছিল আদিত্য এবং নন্দিনীর। কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়েন নন্দনী। বিয়ের পাঁচ দিন আগে বিয়োরা শহরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। বিয়ে নিয়ে দোটনায় পড়েন দুই পরিবারের সদস্যেরা। কিন্তু পরবর্তী দু’বছর শুভ মুহূর্ত না থাকায় নার্সিংহোমেই নন্দিনীকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন আদিত্য। বুধবার রাতে ঘোড়ায় চড়ে ব্যান্ড বাজিয়ে নার্সিংহোম চত্বরে হাজির হন আদিত্য। নার্সিংহোমের ভিতরে তৈরি হয়েছিল মণ্ডপ। সেখানেই সিঁদুর দান করে এবং মঙ্গলসূত্র বেঁধে নন্দিনীকে বিয়ে করেন তিনি। নন্দিনী দুর্বল হয়ে পড়ার কারণে তাঁকে কোলে তুলে নিয়ে সাত পাকে বাঁধা পড়েন আদিত্য। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
ভাইরাল সেই ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে ‘অনুরাগ সিংহ’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিয়ো। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। ভিডিয়ো দেখে অনেকেই পাত্রের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। তবে নার্সিংহোমের মতো জায়গায় বাকি রোগীদের অসুবিধা করে বিয়ে করা কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নেটাগরিকেরা। এক জন নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘এটা কী ছেলেখেলা নাকি! নার্সিংহোমে কেউ বিয়ে করে? বাকি রোগীদের কথা ভাবতে হবে না?’’ অনেকে আবার টাইফয়েডের মতো সংক্রামক ব্যাধির তোয়াক্কা না করে ভিড় জমিয়ে বিয়ে করাকে মূর্খামি বলেছেন।