ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
রাতের অন্ধকারে চুপি চুপি কে দেখা করতে এসেছিল? স্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন যুবক। উত্তর তো মিললই না, উল্টে ‘এক্তিয়ার-বহির্ভূত’ প্রশ্ন করায় শ্বশুরবাড়ির লোকের কাছে বেদম মার খেতে হল তাঁকে। ২৫ সেকেন্ডে ৩৫টি ঘুষি খেলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের বাগপতে ঘটনাটি ঘটেছে। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাগপতের সিংহওয়ালি আহির থানা এলাকার দোলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। প্রহৃত ওই যুবকের নাম রোহিত। পেশায় উত্তরপ্রদেশের বিদ্যুৎ বিভাগের অস্থায়ী কর্মী তিনি। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন রোহিত। সেখানে তিনি এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবককে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে দেখেন। রোহিত ওই যুবকের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেও স্ত্রী সেই বিষয়ে তাঁকে কিছু জানাতে রাজি হননি। এর পরেই বিষয়টি নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। কথা কাটাকাটি চরমে পৌঁছোলে রোহিতের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে মারধর শুরু করেন। অভিযোগ, রোহিতের উপর একের পর এক লাথি-ঘুষি চালান তাঁর শ্যালকেরা। বাধা দিতে গিয়ে আহত হন তাঁর এক শ্যালিকা এবং খুড়শ্বশুর। তবে রোহিতকে মার খেতে দেখেও বাধা দেননি তাঁর স্ত্রী। চুপ করে এক পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এর পর রোহিতকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তাতেই ফেলে চলে যান তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আহত অবস্থায় কোনও মতে থানায় পৌঁছোন রোহিত। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, রাস্তার ধারের গলিতে এক যুবককে ধরে বেদম পেটাচ্ছেন জনা চারেক যুবক। পর পর লাথি-ঘুষি মারা হচ্ছে তাঁকে। পাশে দাঁড়িয়ে যুবককে মার খেতে দেখছেন এক মহিলা। মারতে মারতে যুবককে গলির বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘সোনি কপূর’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে। সেই পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে প্রহৃত যুবককে ২৫ সেকেন্ডের মধ্যে ৩৫টি ঘুষি মারা হয়। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ভিডিয়োটি দেখেছেন। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন নেটাগরিকেরা।
জানা গিয়েছে, পুরো বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এক পুলিশকর্তা বলেছেন, ‘‘এই বিষয়ে সিংহভালি আহির থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’