Viral Post

মা কেন একঘেয়ে পুরনো থালাতেই খেতেন, মাকে হারিয়ে জানতে পারলেন পুত্র

টুইটারে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। সেখানে মায়ের কথা লিখেছেন এক মাতৃহারা পুত্র। মায়ের পুরনো থালাটি হাতে ধরে জানিয়েছেন সেই থালার গল্প।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৩৮
Share:

থালার এই ছবিটিই টুইটারে পোস্ট করেছেন ওই মাতৃহারা পুত্র। ছবি : টুইটার থেকে।

মায়েদের অনেক অদ্ভুত অভ্যাস থাকে যার তল খুঁজে পাওয়া মুশকিল। অনেক সময় সে সব অভ্যাস চোখের সামনে দেখলেও প্রশ্ন করার কথা মনে হয় না সন্তানেদের। কখনও বা প্রশ্ন করেও পাওয়া যায় না জবাব। মায়েদের তেমনই এক অজানা রহস্য উদ্ঘাটনের গল্প টুইটারে ছড়িয়ে পড়েছে।

Advertisement

গল্পটি একটি থালার। সাধারণ স্টিলের থালা। খানিকটা পুরনোও। জায়গায় জায়গায় টোল খেয়েছে, বহু ব্যবহারে মলিনও হয়েছে। সেই থালাটিরই একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করে এক সদ্য মাতৃহারা পুত্র জানিয়েছে, থালাটি তাঁর মায়ের। গত দু’ দশক থেকে মারা যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত এই থালাতেই মাকে খাবার খেতে দেখেছেন তিনি। তবে মনে প্রশ্ন জাগলেও কখনও জিজ্ঞাসা করা হয়নি মাকে, কেন থালাটি কখনও বদলাননি তিনি।

টুইটারে ওই মাতৃহারা পুত্র জানিয়েছেন গল্পের পরবর্তী অংশ। যেখানে মা মারা যাওয়ার পর তিনি জানতে পেরেছেন, কেন ওই থালাতেই খেতেন মা। লিখেছেন, ‘‘এটা আমার আম্মার থালা। এই থালাতে গত দু’দশক ধরে খেতে দেখেছি মাকে। মা একমাত্র আমাকে আর আমার বোনঝিকেই এই থালায় খাবার খাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। আজ মায়ের মৃত্যুর পর জানলাম। আমার বোন আমাকে বলল, এই থালাটি আমি পুরস্কার পেয়েছিলাম।’’

Advertisement

লেখক জানিয়েছেন, তিনি যখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়তেন, তখনই থালাটি পুরস্কার পেয়েছিলেন। ‘‘সেটা ছিল ১৯৯৯ সাল। তার পর থেকে ২৪ বছর মা এই থালাতেই খাবার খেয়েছে। আর মা আমাকে একবারও বলেওনি। ভেবে ভাল লাগছে মা। আজ আবার খুব মিস করছি তোমায়।’’

পোস্টটি টুইটারে আসার পরই ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে তাতে মন্তব্যও করেছেন। কেউ লিখেছেন, ‘‘মায়েরা এ ভাবেই নিঃশর্তে তাঁদের ভালবাসা প্রকাশ করে যান।’’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘‘মায়েদের ভালবাসার কোনও তুলনা হয় না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন