100 days work

হিতে-বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা, ১০০ দিনের প্রকল্পে টাকা দিক কেন্দ্র, আর্জি সুকান্ত-শুভেন্দুর

দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন, দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের ব্যাখ্যা না দেওয়ায় পশ্চিমবঙ্গকে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা দেওয়া বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:০৬
Share:

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ফাইল চিত্র।

একশো দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গকে বরাদ্দ টাকা দেওয়া প্রায় এক বছর বন্ধ রেখেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ওই সিদ্ধান্তে হিতে-বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই দ্রুত ওই অর্থ ছাড়ার জন্য আজ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের কাছে তদ্বির করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement

দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন, দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের ব্যাখ্যা না দেওয়ায় পশ্চিমবঙ্গকে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা দেওয়া বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র। কিন্তু বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের মতে, দুর্নীতির কারণে কেন্দ্র টাকা দেওয়া বন্ধ করলেও, সেটিকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতি কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণ বলে সরব হওয়ার কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে তৃণমূল। এ দিকে, ছ’মাসের মধ্যে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই রাজ্যের শাসক দলের কৌশল ভেস্তে দিতেই এ বার অন্তত একশো দিনের কাজের টাকা অবিলম্বে রাজ্যকে দেওয়ার জন্য আজ গিরিরাজের কাছে দরবার করেন রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির দুই নেতা। বৈঠকে ওই প্রকল্পে টাকা দ্রুত ছাড়া হবে বলে আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তবে তার দিনক্ষণ জানাননি তিনি।

সুকান্তের দাবি, ‘‘দ্রুত ওই টাকা ছেড়ে দেওয়া হবে।’’ বিজেপি সূত্রের মতে, একশো দিনের কাজের টাকা আটকে থাকায় গ্রামের মানুষের সমস্যা হচ্ছে। অন্য দিকে, কেন্দ্রের পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে সরব হচ্ছিল তৃণমূল। বিষয়টি থেকে তৃণমূলের রাজনৈতিক ফায়দা তোলা আটকাতে, দেরি না করে একশো দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা দ্রুত ছাড়ার পক্ষে আজ সওয়াল করেন সুকান্ত ও শুভেন্দু।

Advertisement

রাজ্যে জব কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ শুরু হতেই কয়েক লক্ষ ভুয়ো শ্রমিকের নাম বাদ পড়েছে। আজ বিষয়টি জানানো হয়েছে গিরিরাজকেও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আশ্বাস, এত দিন ভুয়ো কার্ড দেখিয়ে যাঁরা টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং যে সব সরকারি কর্মীর সহায়তায় ওই ভুয়ো কার্ড বানানো হয়েছে, সেই সরকারি কর্মী ও উপভোক্তাদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৈকের পরে সুকান্ত জানান, ওই টাকা কোন ভুয়ো ব্যক্তিদের পাঠানো হত, এখন পর্যন্ত কত টাকার নয়ছয় হয়েছে, তা-ও খতিয়ে দেখার জন্য মন্ত্রকের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন গিরিরাজ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘আবাস যোজনাতেও পুকুর চুরি হয়েছে। যাঁরা পাকা বাড়ির মালিক, তাঁরাও আবাস যোজনার উপভোক্তাদের তালিকায় রয়েছেন। ওই দুর্নীতিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ সূত্রের মতে, রাজ্য জুড়ে কত ব্যক্তি পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছেন সেটির তালিকা তৈরি করতে রাজ্যের বিজেপি নেতাদের নির্দেশ দিয়েছে দল। গোটা রাজ্যের তালিকা হাতে পাওয়ার পরে পরবর্তী ধাপে তা কেন্দ্রের কাছে তুলে দেবেন বিজেপি নেতৃত্ব। যার ভিত্তিতে তদন্ত করে দেখতে পারবে কেন্দ্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন