সুন্দরবনে গ্রেফতার বাংলাদেশি মহিলারা। —নিজস্ব চিত্র।
অনুপ্রবেশের অভিযোগে সুন্দরবন থেকে ২৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে ১১ জন মহিলা, ৯ জন পুরুষ এবং চারটি শিশু।
সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তারা সুন্দরবনের চিলমারি জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছেন। সেখান থেকে ওই ২৪ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্তেরা অবৈধ ভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছেন। বাংলাদেশ থেকে তাঁরা জলপথ ধরে বাংলায় ঢোকেন। সূত্র মারফত ওই খবর পেয়ে মঙ্গলবার অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। আগামী বুধবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে হাজির করানো হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২৪ জনের দলটির কারও কাছে বৈধ কোনও কাগজপত্র ছিল না। ভারতীয় পরিচয়পত্রও নেই। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা স্বীকার করেন বাংলাদেশ থেকে বাংলায় অনুপ্রবেশ করেছেন। জানা গিয়েছে, সুন্দরবনের উপকূলীয় অঞ্চল দিয়ে পাঁচটি নৌকা করে ভারতে ঢোকেন বাংলাদেশিরা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, এঁদের পরিকল্পনা ছিল পাকাপাকি ভাবে এ রাজ্যে থেকে যাওয়ার।
বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি বলেন, ‘‘গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আটক করেছে। এঁরা সকলেই জলপথে এসেছেন এবং কারও কাছে নাগরিকত্বের কোনও বৈধ প্রমাণপত্র নেই। ‘ফরেনার্স অ্যাক্ট’ অনুযায়ী ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। আদালতে হাজির করানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছি আমরা।’’ পলাশচন্দ্র জানান, ঠিক কী ভাবে ২৪ জন বাংলাদেশ থেকে এ দেশে এসেছেন, কেউ তাঁদের সাহায্য করেছিলেন কি না, সে সব খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাঁদের প্রাথমিক অনুমান, এই অনুপ্রবেশের নেপথ্যে আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের হাত থাকতে পারে। বিশেষ করে সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চল দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশ অপেক্ষাকৃত সহজ। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্তে নিরাপত্তা আরও জোরদার করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। উপকূলরক্ষী বাহিনীকে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয়দেরও বলা হয়েছে অচেনা কোনও ব্যক্তিকে ইতস্তত ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখলে তাঁরা যেন প্রশাসনকে জানান।