পুলিশের তরফে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে। হিঙ্গলগঞ্জে। নিজস্ব চিত্র
করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে বসিরহাটেও। এখনও পর্যন্ত সংখ্যাটা প্রায় সাতশো ছুঁই ছুঁই।
হিঙ্গলগঞ্জ এবং বসিরহাট থানার দুই মহিলা পুলিশকর্মী, ও একজন পঞ্চায়েত সদস্য করোনায় আক্রান্ত হলেন। দু’টি থানা জীবাণুমুক্ত করার পাশাপাশি লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশের কড়াকড়িও শুরু হয়েছে।
বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত মহকুমার বিভিন্ন থানার ১০ জন পুলিশকর্মীর শরীরে করোনা পজ়িটিভ মিলেছে। ২ জন পুলিশকর্মীর করোনায় মৃত্যু হয়েছে।’’ পুলিশকর্মীরা যাতে সব সময়ে মাস্ক পরেন, নিয়মিত হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করেন, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সুন্দরবন লাগোয়া গ্রামে ২২ জনের শরীরে করোনা পজ়িটিভ পাওয়ার পরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কয়েক দিন আগে ব্যবসায়ীদের পক্ষে হিঙ্গলগঞ্জ বাজার এলাকা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ দিন পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, হিঙ্গলগঞ্জের মামুদপুর গ্রামের বাসিন্দা এক পঞ্চায়েত সদস্য এবং ওই গ্রামেরই বাসিন্দা হিঙ্গলগঞ্জ থানার এক মহিলা পুলিশকর্মীর শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়েছে। দু’জনের বাড়ি জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। পুলিশর পক্ষে মামুদপুর গ্রামকে ‘রেড জ়োন’ এলাকা বলে ঘোষণা করে মাইকে প্রচার শুরু হয়েছে। ওই গ্রামের সঙ্গে বড় রাস্তার সংযোগকারী অন্যান্য রাস্তা বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে।
হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সুদীপ মণ্ডল বলেন, ‘‘করোনা ঠেকাতে আমাদের সকলকে শারিরীক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। জরুরি প্রযোজনে ঘর থেকে বাইরে বেরোতে গেলে মাস্ক পরতেই হবে। সম্ভব হলে বার বার সাবান বা স্যানিটাইজ়ার দিয়ে হাত ধুতে হবে।’’
এ দিন বসিরহাট থানায় আরও এক মহিলা অফিসারের শরীরে করোনা ভাইরাস মিলেছে। তা নিয়ে চিন্তিত থানার অন্যান্য কর্মীরা। ওই অফিসারের কাছাকাছি যাঁরা এসেছেন, তাঁদের লালারস পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বসিরহাটে গত তিন দিনে প্রায় ১০০ মানুষের শরীরে করোনাভাইরাস মিলেছে।
বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা আধিকারিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৪৩৮ জন।’’