প্রতীকী ছবি।
মেলা দেখতে গিয়ে আর ফেরা হল না বাবা-মেয়ের। একই সঙ্গে পাড়া-পড়শি আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে পথ দুর্ঘটনায়।
আশেপাশের গ্রামের পাঁচটি প্রাণ একই সঙ্গে চলে যাওয়ায় শোকস্তব্ধ পরিবেশ। সোমবার কার্যত অরন্ধন ছিল বাদুড়িয়ার চণ্ডীপুর ও যশাইকাটি–আটঘরা পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ব্যানা, চণ্ডীপুর, সরনিয়া, উত্তর শিমলার গ্রামের বাড়ি বাড়ি।
রবিবার বিকেলে হাড়োয়া থেকে গাড়িতে ফেরার পথে দেগঙ্গার কাউকেপাড়ার কাছে বাদুড়িয়া-বেড়াচাঁপা রোডে দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন এঁরা। গুরুতর জখম কয়েকজন। সোমবার দুপুরে গ্রামে আসেন বাদুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সোমা আড়তদার সহ সিপিএম নেতৃত্ব। বিকেলে আসেন সাংসদ ইদ্রিশ আলি, বাদুড়িয়ার পুরপ্রধান তুষার সিংহ।
দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে আবদুল মহিদ মণ্ডল (২৯), আখতারুল মণ্ডল (২৭), হাসানুজ্জামান মণ্ডল (২৬), গাড়ির চালক তবিবুর রহমান (২৫) এবং সাত বছরের ময়না খাতুনের। ময়না হাসানুজ্জামানের মেয়ে। আবদুল মহিম, আখতারুল, হাসানুজ্জামান এলাকার সেলাই কারখানার শ্রমিক। রবিবার কারখানা ছুটি ছিল বলে সপরিবার হাড়োয়ায় মেলা দেখতে গিয়েছিলেন তাঁরা। আকতারুলের স্ত্রী করিনা বিবি এবং আবদুল মহিদের স্ত্রী রুবিনা বিবি সহ ৩ জন আরজিকর হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি।
এ দিকে সন্ধের আগেই ময়না-তদন্ত শেষে একের পর এক দেহ ফেরে গ্রামে। কান্নার রোল ওঠে।
ইটের ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল হাসানুজ্জমানদের গাড়ি। দু’টি গাড়িই উল্টে পড়ে নয়ানজুলিতে। ইট-বোঝাই ট্রাকের তলায় পড়ে পিষে যায় যাত্রিবাহী ছোট গাড়িটি।
যে জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছিল, সেখানে রাস্তার অবস্থা এ দিন ঘুরে দেখেছেন পুলিশ কর্তারা।