গর্তে গাড়ি, জখম ৬

বুধবার রাতে ব্যারাকপুরের ঘোষপাড়া রোডে লালকুঠির কাছে টোটো উল্টে জখম হন ৪ জন। ওই রাস্তাতেই বৃহস্পতিবার অটো ও স্কুটির ধাক্কায় জখম হয়েছেন ২ জন।

Advertisement

বিতান ভট্টাচার্য

ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ০২:১১
Share:

ঝুঁকি: এ পথেই যাতায়াত। নিজস্ব চিত্র

ভাঙা রাস্তায় দু’টি পৃথক দুর্ঘটনায় জখম হলেন ৬ জন।

Advertisement

বুধবার রাতে ব্যারাকপুরের ঘোষপাড়া রোডে লালকুঠির কাছে টোটো উল্টে জখম হন ৪ জন। ওই রাস্তাতেই বৃহস্পতিবার অটো ও স্কুটির ধাক্কায় জখম হয়েছেন ২ জন।

রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা। চারিদিকে গর্ত। পাথক কুচি ছড়িয়ে ছিটিয়ে। তার মধ্যে বৃষ্টি হলে তো আর কথাই নেই। মোটরবাইক, অটো, টোটোয় থাকা যাত্রীরা রীতিমতো আতঙ্কে পার হন ওই পথ। যাত্রীরা জানালেন, পাশ দিয়ে বড় গাড়ি গেলে জল ছিটকে আসে গায়ে। পোশাক নষ্ট হয়।

Advertisement

দুর্ঘটনায় জখম শ্যামনগরের বাসিন্দা স্কুটি আরোহী পিয়া দত্ত বলেন, ‘‘ভেজা রাস্তায় গর্ত বাঁচাতেই উল্টো দিক থেকে আসা যাত্রিবোঝাই অটোটি মুহূর্তে স্কুটির সামনে এসে ধাক্কা দিল। আর একটা গর্তে ছিটকে পড়লাম।’’ কেন এত গর্ত? কেনই বা সারানোর পরেও ফের হাঁ মুখ হয় রাস্তা? এ প্রশ্ন গোটা শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দার। লালকুঠি মোড়টি ভৌগোলিক ভাবে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চৌমাথা। কাঁচরাপাড়া, নৈহাটি বা বারাসত, বরাহনগর— যে দিক থেকেই শিল্পাঞ্চলে যে প্রান্তে যাওয়া হোক, এই চৌমাথা পেরোতে হবে। লালকুঠিতে ব্যারাকপুর উড়ালপুল তৈরি হওয়ার আগে ১৫ নম্বর রেলগেট থাকাকালীনও রাস্তার এই অংশ খানাখন্দেই ভরা থাকত। উড়ালপুল হওয়ার পরে গাড়ির চাপ অনেক বেশি বেড়েছে। কিন্তু রাস্তার হাল ফেরেনি।

ব্যারাকপুরের পুর প্রশাসন সূত্রে খবর, এই রাস্তার তলা দিয়েই টেলিফোন, সরকারি ও বেসরকারি নানা সংস্থার কেবল, জলের লাইন, সিইএসসি’র লাইন গিয়েছে। এই চৌমাথাতেই মাটির নীচে বিভিন্ন লাইনের সংযোগস্থলও। ফলে কোনও সমস্যা হলেই এখানে খোঁড়াখুঁড়ি করে সংশ্লিষ্ট দফতর। তারপর ফেলে রেখে চলে যায়। প্রশাসনিক চাপ তৈরি হলে প্রলেপ পড়ে, না হলে তা-ও নয়। ব্যারাকপুরের পুরপ্রধান উত্তম দাস বলেন, ‘‘পূর্ত দফতরের রাস্তা। কিন্তু এত দফতরের লাইন ওই রাস্তার নীচে যে খোঁড়াখুঁড়ির পরে সারানো হতে না হতেই আবার খোঁড়া হয়ে যায়। সারানো হয় না ঠিক মতো। তাই দুর্ঘটনা ঘটে।’’

এ দিকে, এ বারও রাস্তার এই গর্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ মহকুমাশাসক। মাস কয়েক আগেই ঘোষপাড়া রোডের ওই অংশে দুর্ঘটনার পরে গর্ত বোজানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। ফের একই অবস্থা হওয়ায় ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক পীযূষ গোস্বামী বলেন, ‘‘পূর্ত দফতরকে বলেছি, অবিলম্বে গর্ত বোজাতে। আর কারা রাস্তা খুঁড়েছিল, সেই দফতরকে ডেকে পাঠাতে বলেছি। এ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা খুঁড়লে তা ঠিক মতো সারাতেও হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন