Demolition

টাকা না দেওয়ায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বাড়ির পাঁচিল

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, হাতিশালা এলাকার বাসিন্দা সুকুমার ঘোষ তাঁর নিজস্ব জমিতে বাড়ি তৈরি করছিলেন। অভিযোগ, তা নিয়ে তৃণমূল-আশ্রিত এক দল দুষ্কৃতী মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভাঙড়  শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৬:৪৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

দাবি মতো টাকা না দেওয়ায় বুলডোজ়ার দিয়ে এক ব্যক্তির নির্মীয়মাণ বাড়ির পাঁচিল ও স্তম্ভ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কয়েক জন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার হাতিশালা এলাকায়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, হাতিশালা এলাকার বাসিন্দা সুকুমার ঘোষ তাঁর নিজস্ব জমিতে বাড়ি তৈরি করছিলেন। অভিযোগ, তা নিয়ে তৃণমূল-আশ্রিত এক দল দুষ্কৃতী মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। সুকুমার সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় সোমবার রাতে দুষ্কৃতীরা বুলডোজ়ার দিয়ে তাঁর নির্মীয়মাণ বাড়ির পাঁচিল ও কংক্রিটের স্তম্ভ গুঁড়িয়ে দেয়। ওই ব্যক্তিকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালে লেদার কমপ্লেক্স থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুকুমার।

তিনি বলেন, ‘‘আমি আমার জমিতে বাড়ি তৈরি করছিলাম। তৃণমূলের কিছু লোকজন এসে মোটা অঙ্কের টাকা চায়। আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ওরা যে বুলডোজ়ার দিয়ে পাঁচিল ও পিলার গুঁড়িয়ে দেবে, সেটা ভাবিনি। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’’

Advertisement

ঘটনা প্রসঙ্গে ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘‘দল এই ধরনের অনৈতিক কাজকে প্রশ্রয় দেয় না। তবে সুকুমার মিথ্যা অভিযোগ করছেন। ওঁর বোনেরা তাঁদের অংশ ইতিমধ্যেই অন্য এক জনকে বিক্রি করে দিয়েছেন। যিনি কিনেছেন, তাঁর নামে ওই জমি নথিভুক্ত হয়ে গিয়েছে। সেটি আদালতে বিচারাধীন। সেই জমিতে জোর করে বাড়ি তৈরি করছিলেন সুকুমার। তা নিয়ে কোনও সমস্যা হয়ে থাকতে পারে।’’

অন্য দিকে, ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির আইএসএফ সদস্য আসমা বিবি বলেন, ‘‘এত দিন উত্তরপ্রদেশে যে ঘটনা শুনেছি, এখন ভাঙড়ে তা দেখতে পাচ্ছি। সাধারণ মানুষ টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় বুলডোজ়ার দিয়ে তাঁদের ঘর ভাঙা হচ্ছে। তৃণমূল তোলাবাজি ছাড়া কিছু বোঝে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন