সার্কাস থেকে গ্যালারি এনে, মাঠ সাজিয়ে ‘ফুটবল-ফিভার’ হাসনাবাদে

বুধবার ছিল খেলার প্রথম দিন। আটটি দলের খেলা। দু’দিনের এই ফুটবল খেলায় কলকাতার অনেক প্রথম সারির দলের ফুটবলারেরা খেলছেন। আছেন অনেক নাইজেরিয়ার খেলোয়াড়। এ দিন সাতটি ম্যাচের শেষে ফাইনালে উঠেছে ‘আমরা ক’জন অসহায়’।

Advertisement

নির্মল বসু

বসিরহাট শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৭ ০১:১১
Share:

পায়ে-পায়ে: বল নিয়ে কাড়াকাড়ি দু’পক্ষের। নিজস্ব চিত্র

যে দিন বিশ্বমানের খেলার সাক্ষী থাকতে হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে উপচে পড়ছে যুবভারতী, সে দিনই কলকাতা থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে হাসনাবাদের মাঠে স্থানীয় টুর্নামেন্টেও আসন ভরালেন দর্শকেরা।

Advertisement

এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, জলসেবিয়ার কোনানগর মাঠে নিয়ে যাবে বলে এলাকার চৌমাথা থেকেই রিকশাওয়ারা হাঁকাহাঁকি শুরু করছেন। ১৬ দলীয় নক আউট দিনরাতের এই ফুটবল খেলা দেখতে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক আসছেন।

বুধবার ছিল খেলার প্রথম দিন। আটটি দলের খেলা। দু’দিনের এই ফুটবল খেলায় কলকাতার অনেক প্রথম সারির দলের ফুটবলারেরা খেলছেন। আছেন অনেক নাইজেরিয়ার খেলোয়াড়। এ দিন সাতটি ম্যাচের শেষে ফাইনালে উঠেছে ‘আমরা ক’জন অসহায়’।

Advertisement

খেলা দেখার জন্য মাস চারেক ধরে ক্লাবের ছেলেরা মাঠের ঘাস কেটে সাজিয়েছেন। সুষ্ঠু ভাবে যাতে দর্শকেরা খেলা দেখতে পারেন, সে জন্য কলকাতা থেকে সার্কাসের গ্যালারি ভাড়া করে আনা হয়েছে।

উদ্যোক্তারা জানান, এ বারের খেলায় ৫২ জন বিদেশি খেলোয়াড় যোগ দেবেন। আজ, বৃহস্পতিবার ফাইনাল খেলা হবে। জয়ী দল পাবে এক লক্ষ দশ হাজার এক টাকা এবং রানার্সরা পাবে ৯০ হাজার এক টাকা। সঙ্গে থাকছে ট্রফি।

এ দিন দুপুরে এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, কলকাতার খেলোয়াড়দের সামনে থেকে দেখবে বলে মানুষের ভিড়। মাটিতে ২০ টাকা, গ্যালারির জন্য ৫০ টাকা টিকিট কেটে পিলপিল করে দর্শক ঢুকছে মাঠে। ৪-৫ হাজার তো হবেই। ঘুগনি-আলুরদম, চাটনি-পাঁপর, বাদাম, আইসক্রিম থেকে শুরু করে বিরিয়ানি-সাদাভাত, ঝুমঝুমি-পুতুল যা চাই সব আছে। ভিড় ঠেলে কোনও রকমে খেলার মাঠে ঢুকে হতবাক। মাঠের এক ধারে প্রায় দেড়তলা বাড়ি সমান উচুঁ করে কাঠের গ্যালারি দর্শকে ভরা। ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে চার দিকে যেন একটা উৎসবের আমেজ।উদ্যোক্তা ক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক জুলফিকার মোল্লার দাবি, ‘‘ফুটবল-পাগল দর্শকদের আনন্দ দিতে মানুষের সাহায্যে আমাদের এই আয়োজন। বাদুড়িয়ার পরিমল মণ্ডল মালঞ্চের খালেক মোল্লার কথায়, ‘‘অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ খেলা কলকাতা শহরে হলেও তা দেখার সৌভাগ্য আমাদের মতো গরিব মানুষের নেই। তাই এখানে আসা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন