খুনের নালিশ, গণপিটুনি

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মনিরুল মণ্ডল (২২)। ভ্যান চালাতেন তিনি। সুজিনা বিবির মনিরুলের বিয়ে হয় বছর পাঁচেক আগে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জয়নগর শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৭ ০১:০৯
Share:

জামাইকে পিটিয়ে, শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে স্ত্রী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও এক আত্মীয়কে গণপিটুনি দল জনতা। অভিযুক্তদের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে জখমদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বকুলতলা গ্রামে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মনিরুল মণ্ডল (২২)। ভ্যান চালাতেন তিনি। সুজিনা বিবির মনিরুলের বিয়ে হয় বছর পাঁচেক আগে। তাঁদের দুই সন্তান। মনিরুলের কোনও নির্দিষ্ট আস্তানা নেই। তিনি আদতে বিহারের বাসিন্দা বলেই পরিচিত।

বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়িতেই সস্ত্রীক থাকতেন মনিরুল। সব ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু মাস কয়েক আগে হঠাৎ উধাও হয়ে যান ওই যুবক। এ দিক ও দিক খোঁজাখুঁজি করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এক সময়ে তাঁরা জানতে পারেন, আরও একটি বিয়ে করে ঘুটিয়ারিশরিফে বাসা বেঁধেছেন মনিরুল। এই নিয়ে ফোনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। দ্বিতীয় সংসার ছেড়ে মনিরুলকে ফিরে আসার জন্য চাপ দেওয়া হতে থাকে।

Advertisement

বুধবার রাতে ওই যুবক শ্বশুরবাড়িতে ফিরেছিলেন। এ দিন সকালে বাড়িতে থেকে প্রায় তিনশো মিটার দুরে মেহগনি গাছের ডালে তাঁর গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা।

পুলিশের কাছে সে খবর পৌঁছনোর আগেই লোকজন জড়ো হয়ে যায় তাঁর শ্বশুরবাড়ির সামনে। মনিরুলকে পিটিয়ে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে সুজিনা, তাঁর বাবা-মা এবং এক আত্মীয়কে বাড়ি থেকে বের করে গাছে বেঁধে শুরু হয় গণপ্রহার।

সামাউল শেখ, কালাম মোল্লারা জানান, সুজিনার পরিবারের হাতে বছর কয়েক আগে এক যুবক খুন হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। জামাইকেও তারা খুন করেছে বলে ধরে নেয় জনতা। তবে এ দিন নিমপীঠ হাসপাতালে শুয়ে জখমেরা দাবি করেছে, মনিরুলের মৃত্যুর সঙ্গে তাঁরা জড়িত নন। মিথ্যা অভিযোগে তাঁদের উপরে হামলা চালানো হল।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত শুরু হবে। যুবকের মৃত্যুর কারণ জানতে দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন