Unnatural Death

জগদ্দলে তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ খুনে নতুন মোড়! পুলিশি জেরা ‘সহ্য’ না করতে পেরে আত্মঘাতী ভিকির ‘ঘনিষ্ঠ’

মৃত যুবকের নাম হরেরাম সাউ (২২)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হরেরাম ভিকির ‘ঘনিষ্ঠ’ ছিলেন। পুলিশ হরেরামের মৃতদেহ উদ্ধারের সময় একটি সুইসাইড নোট খুঁজে পায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

জগদ্দল শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৩ ০১:৩২
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবের খুনের ঘটনায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে। এরই মাঝে পুলিশের জেরা এবং সন্দেহ ‘সহ্য’ করতে না পেরে ‘আত্মঘাতী’ হলেন এক যুবক। নিজেকে শেষ করে দেওয়ার আগে তিনি একটি চিঠিও লেখেন। যদিও ওই চিঠির সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি। যুবক সেই চিঠিতে জানিয়েছেন, ভিকির খুনে যুক্ত না থাকা সত্ত্বেও বারংবার পুলিশের জেরায় দিশেহারা হয়ে নিজের ঘরেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন তিনি। যুবকের নাম হরেরাম সাউ (২২)।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হরেরাম ভিকির ‘ঘনিষ্ঠ’ ছিলেন। পুলিশ হরেরামের মৃতদেহ উদ্ধারের সময় একটি সুইসাইড নোট খুঁজে পায়। সেই সুইসাইড নোটে হরেরাম লিখেছেন, “আমি ভিকি যাদবের খুনের সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নই। আমাকে মিথ্যে সন্দেহ করা হচ্ছে। আমি, ভিকি এবং আকাশ যাদবের কাছে চললাম। ভাই, মাকে দেখিস।”

তবে এই ঘটনায় তদন্ত আরও পিছিয়ে গেল কি না তা নিয়ে পুলিশের তরফ থেকে কিছু জানা যায়নি।

Advertisement

গত মঙ্গলবার নিজের বাড়ির সামনে খুন হন ভিকি। তাঁর মাথা এবং শরীরে মোট নয়টি গুলি লাগে। ওই খুনের তদন্তে নেমে শুক্রবার দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানালেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের তদন্তকারী আধিকারিকেরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম অঙ্কিতকুমার সিংহ ওরফে রিঙ্কু এবং রহিস আলি। অঙ্কিতের বাড়ি ভাটপাড়া এলাকায়। রহিস থাকতেন জগদ্দলেই। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার অলক রাজোরিয়া জানান, তদন্ত চলছে। তবে ধৃত দু’জনকেই মূলচক্রী হিসাবে ধরা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন