Amit Shah In West Bengal

তৃণমূল জনপ্রতিনিধিরা নেই কেন, প্রশ্ন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে 

মঙ্গলবার দুপুরের দিকে শাহের হেলিকপ্টার কলকাতা থেকে পেট্রাপোল বন্দর সংলগ্ন কালিয়ানি বিএসএফ ক্যাম্পের হেলিপ্যাডে নামে। সেখান থেকে সড়কপথে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় আসেন শাহ। 

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র  

পেট্রাপোল শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২৩ ০৬:৫৩
Share:

পেট্রাপোলে অমিত শাহ। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অমিত শাহের সফর ঘিরে মঙ্গলবার দিনভর কড়া নিরাপত্তা জারি ছিল পেট্রাপোলে। দুপুরের দিকে শাহের হেলিকপ্টার কলকাতা থেকে পেট্রাপোল বন্দর সংলগ্ন কালিয়ানি বিএসএফ ক্যাম্পের হেলিপ্যাডে নামে। সেখান থেকে সড়কপথে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় আসেন শাহ। বনগাঁ শহরের বিএসএফ ক্যাম্প মোড় এলাকা থেকে পেট্রাপোল সীমান্ত পর্যন্ত যশোর রোডে পুলিশ মোতায়েন ছিল।

Advertisement

এ দিন অমিত শাহের সঙ্গে ছিলেন দুই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ও শান্তনু ঠাকুর। ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বনগাঁ উত্তর এবং গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া এবং সুব্রত ঠাকুরও ছিলেন। ছিলেন বিজেপি কাউন্সিলর দেবদাস মণ্ডল। তবে তৃণমূলের কোনও জনপ্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। পেট্রাপোল এলাকাটি ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে। প্রধান তৃণমূলের প্রসেনজিৎ ঘোষকেও আমন্ত্রণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। প্রসেনজিতের কথায়, "এটা রাজনৈতিক অসৌজন্যমূলক আচরণ।’’ দেবদাস বলেন, "যদি এটা রাজনৈতিক অসৌজন্যমূলক আচরণ হয়ে থাকে, তা হলে তা শিখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, সরকারি প্রশাসনিক বৈঠকে বিজেপির কোনও বিধায়ক ডাক পান না।"

ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি ইন্ডিয়া এবং বিএসএফের একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি ছাড়িয়েছে জানান তিনি। অনুষ্ঠানে গাছের চারা দিয়ে মন্ত্রীদের স্বাগত জানানো হয়। নাচের অনুষ্ঠান ছিল। রবীন্দ্রনাথের ‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে’ গানের সঙ্গে শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করেন। মঞ্চ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পেট্রাপোলে তৈরি হওয়া হোস্টেল হাউজ়, দমকল স্টেশন এবং অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার উদ্বোধন করেন। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিএসএফের ক্যাম্প-সহ ৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। ওই ৭টি প্রকল্পে খরচ হয়েছে ১০৮ কোটি টাকা। এ দিন পেট্রাপোল থানার নবনির্মিত ভবনেরও উদ্বোধন করেছেন শাহ। সুসংহত চেকপোস্ট এলাকায় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য রফতানি-আমদানির জন্য দ্বিতীয় কার্গো গেট তৈরির শিলান্যাস করেন।

Advertisement

দ্বিতীয় কার্গো গেটের তৈরির বিষয় উল্লেখ করে শাহ বলেন, "পেট্রাপোলে রোজ ৬০০-৭০০ ট্রাক যাতায়াত করে। ট্রাক চলাচলে দেরি হয়। দ্বিতীয় কার্গো গেট হলে আমার বিশ্বাস, সমস্যার সমাধান ভাল ভাবেই হবে।" সীমান্ত বাণিজ্যে যুক্ত লোকজনও দ্বিতীয় কার্গো গেট তৈরির কাজ শুরু হওয়ায় খুশি। ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ডিরেক্টর মতিয়ার রহমান বলেন, "দ্বিতীয় কার্গো গেট তৈরি হলে পণ্য আমদানি-রফতানির কাজে গতি আসবে।" পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তীর মতে, দ্বিতীয় গেট তৈরি হলে পণ্য রফতানি দ্বিগুণ হয়ে যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন