Bhangar

চাকরির ‘অফার লেটার’ পেয়েও চিন্তায় মারুফ

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোর্স করার পরে মেশিন অপারেটরের কাজ পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে মারুফ জানান, মেশিন অপারেটারের কাজ করতে আপত্তি নেই তাঁর।

Advertisement

সামসুল হুদা

ভাঙড়  শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:০৯
Share:

মারুফউদ্দিন বিশ্বাস। নিজস্ব চিত্র।

চাকরির ‘অফার লেটার’ পেয়ে খুশি হয়েছিলেন কৃষক পরিবারের তরুণ। কিন্তু চিঠিতে দেওয়া নম্বরে বার বার ফোন করেও সংশ্লিষ্ট সংস্থার থেকে কোনও উত্তর মেলেনি। ফলে চিন্তায় পড়েছেন ভাঙড়ের চন্দনেশ্বর ২ পঞ্চায়েতের বেলিয়াডাঙা গ্রামের বছর চব্বিশের মারুফউদ্দিন বিশ্বাস।

Advertisement

গড়িয়াহাট আইটিআই কলেজ থেকে দু’বছরের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোর্স করেছেন মারুফ। দিন কয়েক আগে কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের নিয়ে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সফল ছেলেমেয়েদের চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর ওই সভায় ডাক পেয়েছিলেন মারুফ। তাঁর হাতেও তুলে দেওয়া হয় ‘অফার লেটার’।

মারুফ জানান, তাঁকে হাওড়ার লিলুয়ায় ‘কৃষক ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থায় চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, কারখানার সিএনসি মেশিন অপারেটর হিসাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরি দেওয়া হবে। মাসে প্রায় ১২ হাজার টাকা বেতন দেওয়ার কথাও বলা হয় চিঠিতে।

Advertisement

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোর্স করার পরে মেশিন অপারেটরের কাজ পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে মারুফ জানান, মেশিন অপারেটারের কাজ করতে আপত্তি নেই তাঁর। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগই করতে পারছেন না!

মারুফের দাবি, চিঠিতে ইউনিট ১, ইউনিট ২ এবং ইউনিট ৩-এর তিনটি ফোন নম্বর দেওয়া আছে। ওই তিনটি নম্বরেই মারুফ বেশ কয়েকবার ফোন করেন। ইউনিট ২, ৩ নম্বরে ফোন করলে তাঁকে বলা হয়, ইউনিট ১-এ যোগাযোগ করতে। কিন্তু বেশ কয়েকবার ইউনিট ১-এর নম্বরে ফোন করেও কোনও ভাবে যোগাযোগ করতে পারেননি মারুফ। শেষ পর্যন্ত ওই এলাকায় তাঁর এক পরিচিতকে অফার লেটার অনুযায়ী পুরো বিষয়টি খোঁজ নিতে বলেন তিনি।

মারুফের বাবা মারা গিয়েছেন প্রায় দশ বছর আগে। বর্তমানে বাড়িতে মা, ঠাকুমা ও এক ভাই। বাবা মারা যাওয়ার পরে মারুফের মা নিজেদের সামান্য জমিতে চাষ করে এবং লিজ়ে দিয়ে কোনও রকমে দুই ছেলেকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। বাংলায় অনার্স নিয়ে পাশ করেন মারুফ। তারপরে ভর্তি হন গড়িয়াহাটের আইটিআই কলেজে।

মারুফ বলেন, “বাবা নেই। আমাকেই সংসারের হাল ধরতে হবে। কাজে যোগ দিতে চাই। কিন্তু অফার লেটার পাওয়ার পরেও স্বস্তিতে থাকতে পারছি না। ওদের সঙ্গে কোনও ভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।”

এ বিষয়ে জেলার উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্প আধিকারিককে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। মেসেজেরও উত্তর দেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন