সারানোর পরেও ভাঙছে জেটি, চিন্তায় প্রশাসন

এ দিকে তিন নম্বর অস্থায়ী জেটির অনেক জায়গাই মেরামত করতে হবে। কারণ শুধুমাত্র গঙ্গাসাগর মেলার কটাদিন তা ব্যবহার করা হয়। বছরের বাকি সময় সেগুলি ব্যবহার হয় না। তাই মেরামতিও হয় না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৭ ০৩:১২
Share:

অপেক্ষা: এই জেটিকে সারিয়ে চালানো হবে ফেরি পরিষেবা। নিজস্ব চিত্র

মাস খানেক আগে কাকদ্বীপ-সাগরের মধ্যে চলাচলের মূল ৪ নম্বর জেটির গ্যাংওয়ে ঝড়ে ভেঙে যায়। তারপর তা সারানো হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু ফের খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই এখন বাধ্য হয়ে কম নাব্যতাযুক্ত ১ নম্বর জেটি থেকে পরিষেবা চালানো হচ্ছে।

Advertisement

প্রশ্ন উঠেছে, বার বার এই লট ৮ ঘাটের চার নম্বর জেটি খারাপ হওয়ার কারণ কী? সাগর মেলার সময় পরিষেবারই বা কী হাল হবে? বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত প্রশাসনও।

সম্প্রতি ওই জেটিটি দেখতে গিয়েছিলেন সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা। ইঞ্জিনিয়ররা জানান, নিম্নমানের ঢালাই আর গ্যাংওয়ের দৈর্ঘ্য কম হওয়ার জেরেই বার বার লট ৮ ঘাটের চার নম্বর জেটি খারাপ হচ্ছে। আপাতত তা সারানো একেবারেই সম্ভব নয়। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ৩ নম্বর জেটিটিকেই মেরামত করে চালানো হবে। বঙ্কিমবাবুও বলেন, ‘‘এক নম্বর জেটি দিয়ে চলাচলে খুবই সমস্যা হচ্ছে। জল না থাকার জন্য প্রায় আট ঘণ্টা করে ঘাটটি বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তাই তিন নম্বর জেটি সারিয়ে ব্যবহার হবে।’’

Advertisement

এ দিকে তিন নম্বর অস্থায়ী জেটির অনেক জায়গাই মেরামত করতে হবে। কারণ শুধুমাত্র গঙ্গাসাগর মেলার কটাদিন তা ব্যবহার করা হয়। বছরের বাকি সময় সেগুলি ব্যবহার হয় না। তাই মেরামতিও হয় না। তবে ইতিমধ্যে মেরামতির জন্য সেচ দফতর থেকে টেন্ডার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। টেন্ডার জমা পড়ার পর ঠিকাদারকে কাজের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এখানেই সমস্যার শেষ নয়, তিন নম্বর জেটি অস্থায়ী বলে সেখানে কোনও টিকিট কাউন্টার বা শৌচাগার নেই। বর্তমানে পরিষেবা চলছে এক নম্বর জেটি থেকে। তিন নম্বর জেটি চালু হয়ে গেলে ভাটায় পারাপারের সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে বলে আশা করছেন প্রশাসনের কর্তারা।

তাহলে চার নম্বর জেটির ভবিষ্যৎ কী? সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই জেটি খতিয়ে দেখার জন্য একটি দল আসবে, যাঁরা কাজের গুণগত মান যাচাই করার সঙ্গে সঙ্গে গ্যাংওয়ের দৈর্ঘ্যও খতিয়ে দেখবেন।

সপ্তাহ খানেক আগে সেচ দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কলকাতায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। সেখানে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও উপস্থিত ছিলেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, জেটির কংক্রিট অংশ থেকে ভাসমান পন্টুন পর্যন্ত গ্যাংওয়ের দূরত্ব ৩০ মিটার হতে হয়। কিন্তু লট ৮ ঘাটের ৪ নম্বর জেটির দূরত্ব তার চেয়ে কম রয়েছে বলেই ঝড়ঝাপটা সহ্য করতে পারছে না। সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে একটি বিশেষ দল পুজোর পরে এসে লট ৮ ঘাটের ৪ নম্বর জেটির গ্যাংওয়ে খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন, কংক্রিটের কিছুটা অংশ নতুন করে তৈরি করা হবে নাকি গ্যাংওয়েটির দৈর্ঘ্য আরও বাড়ানো হবে। ইঙ্গিত মিলেছে, ওই ঘাট দিয়ে ফেরি পরিষেবা ডিসেম্বেরর আগে চালু হবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন