Arabul Islam

সরকারি জমি দখল করে পার্টি অফিস তৈরি করার অভিযোগ আরাবুলের বিরুদ্ধে! সরব বিরোধীরা

অভিযোগ, বামনঘাটা বাজারের কাছে সেচ দফতরের জায়গা দখল করে পার্টি অফিস তৈরি করছেন আরাবুল এবং তাঁর অনুগামীরা। ওই জমিতে পার্টি অফিস তৈরির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন আরাবুলও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ভাঙড় শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:৫৮
Share:

(বাঁ দিকে) এই জমিতেই তৈরি হচ্ছে তৃণমূলের পার্টি অফিস। (ডান দিকে) তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। —নিজস্ব চিত্র।

সরকারি জমি দখল করে পার্টি অফিস খোলার অভিযোগ উঠল ভাঙড় তৃণমূলের ‘দাপুটে’ নেতা আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বাসন্তী রাজ্য সড়ক লাগোয়া বামনঘাটা বাজারের কাছেই সেচ দফতরের জায়গা দখল করে পার্টি অফিস তৈরি করছেন আরাবুল এবং তাঁর অনুগামীরা। ওই জমিতে পার্টি অফিস তৈরির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন আরাবুলও।

Advertisement

পার্টি অফিস তৈরির কথা স্বীকার করে আরাবুল বলেন, ‘‘ওখানে আগে থেকেই তৃণমূলের একটা পার্টি অফিস ছিল। সেটা ভেঙে যাওয়ায় নতুন করে পার্টি অফিস তৈরি করা হচ্ছে। যাতে এক জায়গায় সবাই বসা যায়, তাই ওই অফিস তৈরি হয়েছে। সরকারি জায়গা বা যা-ই বলা হোক, এ রকম ভাবে সব দলেরই পার্টি অফিস রয়েছে। আর যদি কোনও দিন সেচ দফতরের ওই জায়গার দরকার হয়, আমরা জায়গা ছেড়ে দেব। তবে ওটা সরকারি না, ওটা ক্যানেলের একটা অংশ। নিন্দকেরা এই সব প্রসঙ্গ তুলে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।’’

এই বিষয়ে বাম আমলের প্রসঙ্গ টেনে কটাক্ষও করেছেন আরাবুল। তাঁর কথায়, ‘‘সিপিএম ক্ষমতায় থাকার সময় এ রকম অনেক জমি দখল করে পার্টি অফিস, দোকান করা হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল যখন থেকে ক্ষমতায় এসেছে, তখন থেকে এ রকম কোনও অভিযোগ নেই।’’

Advertisement

সরকারি জায়গা জবরদখল করে পার্টি অফিস তৈরির অভিযোগ তুলে নিন্দায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এ প্রসঙ্গে আইএসএফ নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, ‘‘আমি খবর নিয়ে জেনেছি সিন্ডিকেট রাজ চালানোর জন্য আরাবুল এবং তাঁর গুন্ডাবাহিনী ওই পার্টি অফিস তৈরি করাচ্ছে। বামনঘাটার প্রধান ও উপপ্রধানও এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। কলকাতা পুলিশকে অনুরোধ করব এই অনৈতিক কাজ বন্ধ করার জন্য। না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হব আমরা।’’ একই দাবি তুলে সরব হয়েছেন স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বও।

প্রসঙ্গত, সেচ দফতরের যে জমিতে পার্টি অফিস তৈরির অভিযোগ উঠেছে সেখানে ইতিমধ্যেই কংক্রিটের থাম বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুধু বামনঘাটা বাজারেই তৃণমূলের সাতটি পার্টি অফিস রয়েছে। তার পরেও নতুন পার্টি অফিসের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন