দখল: ক্যানিংয়ে। ছবি: সামসুল হুদা।
ফাঁকা দোকানে পতাকা লাগিয়ে জবরদস্তি দলীয় কার্যালয় তৈরির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
ক্যানিংয়ের গোপালপুর পঞ্চায়েতের প্রধান নন্দকিশোর সর্দারের মদতে তাঁর অনুগামীরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।
বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মহকুমা পুলিশের এক কর্তা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নন্দকিশোর। তাঁর কথায়, ‘‘আমি নতুন প্রধান হয়েছি। এ বিষয়ে কিছুই জানি না। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। এ ধরনের কোনও কাজের সঙ্গে আমি যুক্ত নই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানিংয়ের হেড়োভাঙা বাজারে বহু বছর আগে সরকারি খাস জমিতে পাঁচটি দোকান ঘর তৈরি করেছিলেন মানিকলাল সরকার ও তাঁর ভাই হরিপদ। ব্রিটিশ আমলে ওই এলাকায় সরকারি খাস জমিতে গড়ে উঠেছিল বাজার-দোকান। অভিযোগ, মানিকলালবাবুর পরিবারের একটি দোকান হঠাৎ করে কয়েক দিন আগে জবরদখল করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। রাতারাতি ঝান্ডা লাগিয়ে দলীয় কার্যালয় তৈরি করা হয় সেখানে। মানিকলালের ছেলে সুকুমার দিন দু’য়েক আগে ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
সুকুমার ও তাঁর ভাই বৃন্দাবন বলেন, ‘‘বাবার আমল থেকে বাজারে আমাদের তিনটি দোকান ঘর ছিল। হঠাৎ করে দোকান ঘরের তালা ভেঙে ঝান্ডা লাগিয়ে দলীয় কার্যালয় তৈরি করে শাসকদলের লোকজন। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। এখনও কোনও ব্যবস্থা
নেওয়া হয়নি।’’