হাতে আঁকা নীল তিমি, ফোন কেড়ে নিল পুলিশ

পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কয়েক দিন ধরে অনলাইনে মারণ গেম ‘ব্লু হোয়েল’ খেলতে খেলতে, ১৪ নম্বর ধাপে এসে অভিভাবকদের নজরে পড়ে যায় দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্র। কিন্তু ছেলেকে বোঝাতে পারেননি মা-বাবা। অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। ওই ছাত্রের থেকে কার্যত মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয় পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৫১
Share:

প্রতীকী ছবি।

এ বার নীল তিমির নিশানায় বারুইপুরের এক ছাত্র।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কয়েক দিন ধরে অনলাইনে মারণ গেম ‘ব্লু হোয়েল’ খেলতে খেলতে, ১৪ নম্বর ধাপে এসে অভিভাবকদের নজরে পড়ে যায় দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্র। কিন্তু ছেলেকে বোঝাতে পারেননি মা-বাবা। অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। ওই ছাত্রের থেকে কার্যত মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয় পুলিশ।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রের খবর, মাস দুয়েক আগে ইন্টারনেট থেকে লিঙ্ক পেয়ে কৌতূহল বশত খেলাটি শুরু করেছিল ওই ছাত্র। ১৪ নম্বর ধাপ পর্যন্ত এগিয়েও গিয়েছিল সে। ছাত্রের বাবার কথায়, ‘‘গভীর রাত পর্যন্ত ভূতের সিনেমা দেখত ছেলে। দিন-দিন অন্যমনস্কও হয়ে পড়ছিল। আন্দাজ করছিলাম, কিছু তো একটা চলছে ওর ভিতরে।’’

Advertisement

জোর করে প্রশ্ন করলে, ‘ব্লু হোয়েল’ খেলার বিষয়টি মা-বাবার কাছে সে স্বীকার করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওই ছাত্রের দাবি, ১১ নম্বর ধাপে তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, পরিবারের কারও ক্ষতি করতে হবে। নইলে তার বাবা ও ভাইকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। এর পরেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে ওই ছাত্র। বাড়ির বাইরে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। বাবা-মায়ের সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে সে।

পুলিশের দাবি, এর পর ১৩ নম্বর ধাপে পৌঁছে নিজের হাতে ছুঁচ ফুটিয়ে তিমি মাছ আঁকার নির্দেশ দেওয়া হয় তাকে। বাড়ীর লোকের চোখ এড়িয়ে সে তিমি মাছ এঁকেও ছিল বলে দাবি করেছেন ওই ছাত্রের বাবা। কিন্তু এর পরের ধাপেই হাতে আঁকা তিমি মাছটিকে ব্লেড দিয়ে কেটে তুলতে শুরু করে সে। তখন আর বাবা-মায়ের চোখ এড়াতে পারেনি।

তবে ছেলেকে বোঝাতে পুলিশের দ্বারস্থ হতে হয় তাঁদের। ছাত্রকে দীর্ঘ ক্ষণ জেরা করে পুলিশ। নিয়ে নেয় ফোন।
ওই ছাত্রকে মনোবিদের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন