Saline Water

Aquatic Animals dying: বাঁধ কেটে জমিতে ঢোকানো হচ্ছে নোনা জল, মরছে ফসল, বাড়ছে মাছ

স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, শাসকদলের নেতা ও প্রশাসনের একাংশের মদতে কিছু ব্যবসায়ী এই কাজ করছে।

Advertisement

নির্মল বসু 

বসিরহাট শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২২ ০৮:৩১
Share:

ক্ষতি: ভেড়ির জল ঢুকছে খেতে। নিজস্ব চিত্র

চাষের জমি নষ্ট করে মেছোভেড়ি তৈরির অভিযোগ উঠল সন্দেশখালি ২ ব্লকের দক্ষিণ দ্বারিকজঙ্গল এলাকায়। অভিযোগ, নদীর বাঁধ কেটে নোনা জল ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে জমিতে। ফলে চাষ নষ্ট হচ্ছে। চাষ করতে না পেরে চাষি জমি অল্প দামে দিয়ে দিচ্ছেন। তারপর সেখানেই তৈরি হচ্ছে মেছোভেড়ি। এর ফলে ভবিষ্যতেও ওই জমিতে চাষের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাচ্ছে। তার উপরে জমি থেকে নোনা জল চুঁইয়ে আশেপাশের জমিও লবণাক্ত হয়ে পড়ছে।

Advertisement

স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, শাসকদলের নেতা ও প্রশাসনের একাংশের মদতে কিছু ব্যবসায়ী এই কাজ করছে। ছোট কলাগাছি নদী বাঁধ-সংলগ্ন বেশ কিছু ধানজমির মালিকদের কাছ থেকে জোর করে জমি নিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেই সব জমিতে মেছো ভেড়ি তৈরির জন্য ইতিমধ্যে বাঁধ কেটে নোনা জল ঢোকানো হয়েছে। জোয়ার-ভাটার সঙ্গে সঙ্গে সেই সব জমিতে নোনা জল ওঠা-নামা করছে। এমনকী, সেই জল চুঁইয়ে পাশের অন্য জমি ও মিষ্টি জলের পুকুরেও ঢুকে পড়ছে বলে অভিযোগ। এর জেরে ধান ও মাছ চাষের প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় নদীর ধারে প্রায় ১০০ বিঘা ধানের জমি রয়েছে। পাশাপাশি ৫০-৬০টি মিষ্টি জলের পুকুর আছে। সেখানে মাছ চাষ হয়। অধিকাংশ জমি ও পুকুরে নদীর নোনা জল ঢুকে পড়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। স্থানীয় বাসিন্দা রমেশ মণ্ডল, রতন মণ্ডল, ফজের আলিরা জানান, মেছোভেড়ির নোনা জল আটকাতে ইতিমধ্যে এলাকার ধান চাষিরা উঁচু করে বাঁধ দিয়েছেন। কিন্তু বাঁধের নীচ দিয়ে নোনা জল ঢুকে পড়ছে চাষের জমি এবং পুকুরে। প্রশাসনের কাছে বহুবার জানিয়েও সুরাহা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। পুলিশও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে এ বছর এলাকায় ধান চাষ ভাল হয়নি বলেও দাবি চাষিদের।

সন্দেশখালির সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার বলেন, “শাসকদলের কেউ কেউ ভয় দেখিয়ে ধানের জমি নিয়ে মেছোভেড়ি করছে। এ জন্য পরিকল্পনা করে অবৈধ ভাবে বাঁধ কেটে ধানের জমিতে নোনা জল ঢোকাচ্ছে। ফলে চাষিরা চাষ করতে না পারায় মেছোভেড়ির জন্য নিজেদের জমি সস্তায় ছেড়ে দিচ্ছেন। বিষয়টি পুলিশ ও প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।”

সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, “কেউ জোর করে বা ভয় দেখিয়ে চাষের জমি নেওয়ার অভিযোগ করেননি। আমাদের দলের কেউ জোর করে জমি দখলের সঙ্গে যুক্ত নয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন