Plastic

প্লাস্টিকের ব্যবহার রুখতে জরিমানার দাওয়াই বনগাঁয়

১ জুনের পরে কোনও ক্রেতা প্লাস্টিকের ব্যাগে মালপত্র নিলে তাঁকে ৫০ টাকা জরিমানা করা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২২ ০৭:৩৯
Share:

উদ্যোগ: প্লাস্টিক নিয়ন্ত্রণে পোস্টার হাতে পুরসভার কর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র।

পুরপ্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পরে গোপাল শেঠ জানিয়েছিলেন, শহরে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে পদক্ষেপ করা হবে। বৃহস্পতিবার সকালে পুরকর্মীদের নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন গোপাল। সঙ্গে ছিলেন কাউন্সিলররা। সকলের গলায় ছিল পোস্টার। তাতে লেখা ‘হোক বর্জন প্লাস্টিক বর্জ্য’। ট বাজার এবং বাটারমোড় থেকে নিউমার্কেট পর্যন্ত দোকানে দোকানে গিয়ে পুরপ্রধান বিনামূল্যে পাটের ব্যাগ বিলি করেন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার না করতে আবেদন জানানো হয়। গোপাল জানান, এ দিন প্রায় ১২ হাজার পাটের ব্যাগ বিলি হয়েছে। দোকান মালিকেরা প্রায় ২৫ হাজার প্লাস্টিকের ব্যাগ ফেরত দিয়েছেন। পুরপ্রধানের দাবি, অনেকেই কথা দিয়েছেন, প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করবেন না।

Advertisement

পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক দিন শহরে পাটের ব্যাগ বিলি করা হবে। চলবে সচেতনতামূলক প্রচার। ১ জুনের পরে কোনও ক্রেতা প্লাস্টিকের ব্যাগে মালপত্র নিলে তাঁকে ৫০ টাকা জরিমানা করা হবে। কোনও বিক্রেতা প্লাস্টিকের ব্যাগ দিয়ে ধরা পড়লে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হবে। কোনও ডিলার ধরা পড়লে জরিমানার অঙ্ক হবে ৫ হাজার টাকা। ওই দিন থেকেই শুরু হবে ধরপাকড়।

এ দিন শহরে ঘুরে দেখা গেল, বাজার-হাটে মুদি, মিষ্টি, ফল, ফুল-সহ ওষুধের দোকানে প্লাস্টিকের ব্যাগের ব্যবহার চলছে। অনেক জায়গায় আবার ক্রেতারা বিক্রেতাদের কাছ থেকে প্লাস্টিকের ব্যাগ চেয়ে নিচ্ছেন। এক মাছ বিক্রেতা বলেন, ‘‘প্লাস্টিকের ব্যাগের বিকল্প যে ব্যাগ ব্যবহার করি, তার একটির দাম এক টাকা। সেগুলি তুলনায় পাতলা। ফলে ক্রেতাদের দু’টো করে ব্যাগ দিতে হচ্ছে। ক্রেতারা ব্যাগের জন্য বাড়তি দাম দিতে চান না। ফলে লাভ কমে গিয়েছে। বাধ্য হয়ে মাঝে মধ্যে প্লাস্টিকের ব্যাগ দিচ্ছি।’’

Advertisement

শহরবাসীর একাংশের বক্তব্য, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সচেতনতার অভাব এবং পুরসভার নজরদারিতে ঢিলেমির জেরে প্লাস্টিকের রমরমা ফিরে এসেছে। এর ফলে বর্ষায় জল জমার পাশাপাশি ডেঙ্গির প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। যদিও পুরসভা সূত্রে খবর, ডেঙ্গি প্রতিরোধে ইতিমধ্যে জোরকদমে কাজ শুরু হয়েছে। পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশা মারার তেল ছড়াচ্ছেন। শ্রমিক নিয়োগ করে নিকাশি নালা পরিষ্কার করা হচ্ছে। ডাবের খোলা, হাঁড়ি, কাপ, খুড়ি, পড়ে থাকলে পুরকর্মীরা তা নষ্ট করে দিচ্ছেন। বাড়ির কোথাও যাতে জল না জমে এবং প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার বন্ধের জন্য মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন