tree

BDO: বিডিও-র বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ, প্রশ্ন তুলছেন পরিবেশকর্মীরা

অভিযোগ, ছুটির সময় শনিবার সন্ধ্যা থেকে গাছ কেটে নেওয়া শুরু হয়। এ নিয়ে মগরাহাট এক নম্বর ব্লকের বিডিও ফতেমা কওসরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন এলাকার পরিবেশকর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মগরাহাট শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২২ ১৮:৫৯
Share:

বিডিও অফিসের সামনে কেটে রাখা সেই গাছ। নিজস্ব চিত্র

রাতের অন্ধকারে লোক লাগিয়ে একের পর এক বড় গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠল খোদ বিডিও-র বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ১ নম্বর ব্লকের উস্তিতে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় পরিবেশ কর্মীরা। বিডিও-র অবশ্য দাবি, নতুন ভবন তৈরির জন্য সেচ দফতর এবং জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই গাছ কাটা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শ্রীচন্দ্রা-উস্তি খালের পাড়েই রয়েছে মগরাহাট এক নম্বর ব্লকের বিডিও অফিস। এই দফতরের পিছনে রয়েছে ইউক্যালিপটাস, সোনাঝুরি, মেহগনির মতো বেশ কয়েকটি বড় বড় গাছ। দোল উপলক্ষে ছুটি ছিল ওই দফতরে। অভিযোগ, ছুটির সময় শনিবার সন্ধ্যা থেকে গাছ কেটে নেওয়া শুরু হয়। এ নিয়ে মগরাহাট এক নম্বর ব্লকের বিডিও ফতেমা কওসরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন এলাকার পরিবেশকর্মীরা। স্থানীয় পরিবেশকর্মী ময়মুর লস্করের অভিযোগ, ‘‘এ ভাবে বড় বড় গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে এখানে। এটা প্রশাসন কী ভাবে করাচ্ছে মাথায় আসছে না। ঝড়ের সময় নদী কিংবা সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাকে রক্ষা করে গাছ। অথচ ব্লক প্রশাসন কী ভাবে এমন কাজ করছে তা ভাবতে পারছি না।’’

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে ওই বিডিও-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘নতুন ভবন তৈরির জন্য গাছ কাটা হচ্ছে। সব জায়গা থেকে অনুমতি নিয়েই কাজ করছি। গাছ কাটা হচ্ছে তাই তার বদলে অনেক গাছ লাগানোর পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। দু’একটা গাছ না কাটলে নতুন ভবন তৈরি কোন ভাবেই সম্ভব হবে না।’’

তবে বন দফতরের ডায়মন্ড হারবার রেঞ্জের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গাছ কাটার জন্য ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি।

Advertisement

এ নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা শাসক সুকান্ত সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘গাছ কাটার ছবি এসেছে আমার কাছে। তবে লিখিত কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন