বিজেপির থানা ঘেরাও কর্মসূচি মিটল নির্বিঘ্নেই 

কাটমানি ফেরত, গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গ রূপে চালু করা-সহ কয়েক দফা দাবিতে শনিবার পুরপ্রধানের কাছে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোবরডাঙা  শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৯ ০১:৪৫
Share:

বিক্ষোভ: গোবরডাঙায়। ছবি: সুজিত দুয়ারি

বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপরে পুলিশের লাঠি চালানোর অভিযোগে রবিবার দুপুরে দলের তরফে গোবরডাঙা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হল। স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।

Advertisement

কাটমানি ফেরত, গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গ রূপে চালু করা-সহ কয়েক দফা দাবিতে শনিবার পুরপ্রধানের কাছে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও পুলিশের মধ্যে ধুন্ধুমার বেধে যায়। ইটের ঘায়ে এক মহিলা পুলিশ কর্মী-সহ ৪ পুলিশ কর্মী জখম হন। পাল্টা লাঠি চালিয়ে, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ।

বিজেপির অভিযোগ, পুলিশের অত্যাচারে তাঁদের জনা কুড়ি মহিলা পুরুষ নেতা-কর্মী জখম হয়েছেন। অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সিভিক ভলান্টিয়াররাও লাঠি চালিয়েছেন।

Advertisement

এ দিন বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল গোবরডাঙা থানায় বারাসত পুলিশ জেলার ডিএসপি (হেডকোয়ার্টার) দীপকুমার দাসের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। দলের বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শনিবার পুলিশ আমাদের কর্মী-সমর্থকদের উপরে বর্বরের মতো হামলা চালিয়েছে। ওই কাজে যুক্ত পুলিশ কর্মীদের শাস্তির দাবি করেছি পুলিশ সুপারের কাছে।’’ সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের এক কর্তা।

এ দিন বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে গোটা এলাকা নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল। প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয় থানা সংলগ্ন এলাকায়। থানার চারিদিক গার্ডরেল ফেলে ব্যারিকেড করা হয়। পুলিশের হাতে ছিল কাঁদানে গ্যাসের সেল ও রবার বুলেট রাইফেল। এ দিন অবশ্য বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা কেউ গার্ডরেল ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন