সন্তু রায়।
পড়াশোনায় বরাবর ভাল বলেই পরিচিত ছেলেটি। এ বারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও বেশ ভালই দিচ্ছিল বলে জানিয়েছিল। পরীক্ষা চলছে বলে রাত জেগে পড়ছিল। সকালে তার নিজের ঘরেই ঝুলন্ত দেহ মেলে।
রবিবার সকালে বনগাঁর বেলিয়াপোতার ঘটনা। ছেলেটির নাম সন্তু রায় (১৭)। এই ঘটনায় পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁদা ললিতমোহন হাইস্কুলের ছাত্র সন্তু। এ বার স্থানীয় রাখালদাস উচ্চ বিদ্যালয়ে তার পরীক্ষার সিট পড়েছিল। বাবা সাধন রায় পেশায় টোটো চালক। তাঁর দুই ছেলের মধ্যে সন্তুই বড়। লেখাপড়ায় বরাবর ভাল।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষা চলাকালীন রোজ ভোরে উঠে সন্তু পড়তে বসত। কাকা মদনবাবু রোজ তাকে ঘুম থেকে তুলে দিতেন। রাতে ঘরের জানলা খুলেই ঘুমোত সন্তু। এ দিন মদনবাবু ডেকেও সাড়া পাননি ভাইপোর। সাড়ে ৬টা নাগাদ বাবাও ডাকাডাকি করেন। ঘরের জানলা এ দিন বন্ধ ছিল। দরজাও ভিতর থেকে আটকানো। সাড়া না মেলায় দরজা ভেঙে ফেলেন। দেখা যায়, সিলিং পাখার সঙ্গে ঝুলছে সন্তুর দেহ। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।