মুখোমুখি ১২-র পল্লি এবং বসিরহাট নিউ বাণী সঙ্ঘ। —নিজস্ব চিত্র।
মাঠ ভর্তি দর্শক। সাদা পায়রা উড়িয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন। খেলা শুরুর আগে জাতীয় সঙ্গীত। এমনই জমজমাট পরিবেশে শুরু হল বনগাঁ মহকুমা চ্যাম্পিয়ন লিগ। কিন্তু খেলা দেখে মন ভরল না দর্শকদের।
উদ্বোধনী খেলায় মুখোমুখি হয়েছিল বনগাঁর ১২-র পল্লি স্পোর্টিং ক্লাব এবং বসিরহাটের নিউ বাণী সঙ্ঘ। স্থানীয় প্রতিযোগিতা হলেও ১২-র পল্লির দলে স্থানীয় ফুটবলার তেমন ছিল না। এই দলে ৬ জন বিদেশি ফুটবলার খেলেন। তবে নিউ বাণী সঙ্ঘ স্থানীয় ফুটবলারদের দিয়েই দল তৈরি করেছিল। খেলায় ২-০ গোলে জয়ী হয় ১২-র পল্লি। ম্যাচে লাল কার্ড দেখেন নিউ বাণীর প্রীতম সরকার। গোল দু’টি করেন উগো ক্রিস্টোফার ও টুণ্ডে। তবে খেলায় বেশিরভাগ সময়েই কোনও প্রাণ ছিল না। দু’টি গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে। তিন মিনিটের ব্যবধানে দু’টি গোল হয়। তবে খেলায় হেরে গেলেও নিউ বাণীর সানু হাজরা, সুজু মণ্ডল, কুতুবুদ্দিন মোল্লারা বিদেশিদের সঙ্গে লড়াই করেছেন। আয়োজক বনগাঁ মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২-র পল্লি ও নিউ বাণী সঙ্ঘ ছাড়াও প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে বনগাঁর প্রতাপগড় স্পোর্টিং ক্লাব, বৈজয়ন্ত ক্লাব, মেঘদূত সঙ্ঘ, অশোকনগর মিলন সঙ্ঘ এবং গোপালনগর ন’হাটা অভিযান সঙ্ঘ। প্রতিযোগিতার ফাইনাল ২৩ অগস্ট। উদ্বোধনী খেলায় উপস্থিত ছিলেন মহকুমাশাসক সুদীপ মুখোপাধ্যায়, এসডিপিও বিশ্বজিৎ মাহাতো, মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক তথা বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য, বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ। মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘এই প্রতিযোগিতা ঘিরে মানুষের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে। আশা করছি আমরা আরও ভালো ফুটবল দেখতে পারবো।’’ খেলাটি পরিচালনা করেন স্থানীয় রেফারি রবীন বিশ্বাস।
তবে উদ্বোধনী খেলাটি এ দিন বিতর্কের উর্ধ্বে উঠতে পারেনি। খেলায় জিতলেও ১২-র পল্লির কর্মকর্তারা রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ দিন খেলা চলাকালীন রেফারিকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি ভেসে আসে। মাঠেও রেফারিকে ধাক্কাধাক্কি করা হয়েছে।