কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার নৃপেন রায় নামে ওই যুবককে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগর থেকে ধরা হয়। সেখানকার স্থানীয় পুলিশ এই কাজে সহযোগিতা করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে বছর সতেরোর ওই কিশেরীকেও।
পুলিশ জানিয়েছে, বছর বিয়াল্লিশের নৃপেনের বাড়ি বনগাঁর ট্যাংরা কলোনিতে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ধৃতের বিরুদ্ধে পুলিশ কিশোরীকে অপহরণ, নাবালিকাকে বিয়ে করা, ধর্ষণ এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নৃপেন কাঠ মিস্ত্রির কাজ করে। সে বিবাহিত। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। কিশোরী এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর কিশোরীকে নিয়ে নৃপেন পালায়। তারা গঙ্গাসাগরে এক আশ্রমে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে থাকতে শুরু করে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
নৃপেন পুলিশকে জানিয়েছে, একটি শিব মন্দিরে তারা বিয়েও করেছিল। মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর কিশোরীর পরিবারের তরফে থানায় নৃপেনের নামে অপহরণের অভিযোগ করা হয়েছিল। তদন্তে নেমে বনগাঁ থানার পুলিশ জানতে পারে, তারা গঙ্গাসাগরে রয়েছে। সেই মতো বনগাঁ থানার অফিসার মির নিশান আলম বুধবার গঙ্গাসাগরে স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করেন। গ্রেফতার করা হয় নৃপেনকে। পুলিশ জানিয়েছে, কেন বিবাহিত ওই নাবালিকাকে নারায়ণ নামে ওই সাধু আশ্রয় দিয়েছিল— তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সাধুর খোঁজ করছে।