গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু, অবরোধ টাকি রোডে

সাত সকালে রাস্তা আটকে গাড়ি ধরছিল পুলিশ। পাশ দিয়ে দ্রুত গতিতে পালাতে গিয়ে ট্রাক চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে উল্টো দিক থেকে আসা একটি মোটর বাইকে। শুক্রবার সকালে এই ঘটনায় বসিরহাটের হরিশপুরে এই ঘটনায় মৃত্যু হয় এক যুবকের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৪৮
Share:

সামাদ মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র

সাত সকালে রাস্তা আটকে গাড়ি ধরছিল পুলিশ। পাশ দিয়ে দ্রুত গতিতে পালাতে গিয়ে ট্রাক চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে উল্টো দিক থেকে আসা একটি মোটর বাইকে। শুক্রবার সকালে এই ঘটনায় বসিরহাটের হরিশপুরে এই ঘটনায় মৃত্যু হয় এক যুবকের। গুরুতর জখম একজনকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত সামাদ মণ্ডল (২২) থাকতেন বসিরহাটের মালতিপুরের গাংহাটি গ্রামে। রাস্তার মধ্যে পুলিশ গাড়ি না আটকালে দুর্ঘটনা ঘটত না বলে দাবি জনতার। দেহ রাস্তায় রেখে বিক্ষোভ শুরু হয়। তার জেরে প্রায় দেড় ঘণ্টা টাকি রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শেষে বসিরহাট থানার আইসি বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। মৃতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ, লরির চালকের শাস্তির প্রতিশ্রুতি দেয় পুলিশ। এরপরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। লরি চালকের খোঁজ করছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাটের খোলাপোতা থেকে ত্রিমোহণী হয়ে দন্ডিরহাট যাওয়ার টাকি রাস্তায় জায়গায় জায়গায় পিচ ও পাথর উঠে খুবই খারাপ অবস্থা। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।

Advertisement

বিক্ষোভ: দুর্ঘটনার পরে। নিজস্ব চিত্র

এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ হরিশপুরের কাছে ওই রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশের একটি গাড়ি। তারা একটি গাড়ি আটকায়। সে সময়ে উল্টো দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি লরির চালক ওই গাড়ির পাশ দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। সে সময়ে জালালউদ্দিন মণ্ডলের মোটর বাইকের পিছনে বসে বসিরহাটের দিকে আসছিলেন সামাদ। পুলিশকে এড়িয়ে পালাতে গিয়ে লরি চালক ধাক্কা মারে বাইকে। ছিটকে পড়েন দু’জন। লরির চালক গাড়ি না থামিয়ে সামাদকে পিঁষে দিয়ে বেরিয়ে যায়। সামাদের বোনের স্বামী জালালউদ্দিনও জখম হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

এ দিকে, ঘটনার পরে পুলিশের গাড়ি দুর্ঘটনাস্থলের দিকে না এগিয়ে উল্টো দিকে চলে যাচ্ছে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়ে জনতা। দেহ তোলাকে কেন্দ্র করে জনতার সঙ্গে পুলিশের বচসা বাধে। রতন বৈদ্য, কমল পরামানিক, কাজল মণ্ডল, ফিরোজ ইসলামরা বলেন, ‘‘প্রায়ই ভোরের দিকে হরিশপুর এলাকায় পুলিশ গাড়ি পরীক্ষার নাম করে টাকা তুলছে। এ দিনও তারা গাড়ি আটকে টাকা তুলছিল। পাশ কাটিয়ে পালিয়ে গিয়ে বেহাল রাস্তায় লরির চালক নিয়ন্ত্রণ ফেলে বাইকে ধাক্কা মারে।’’

পুলিশের অবশ্য দাবি, বসিরহাটের একজনের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগ মেলায় শহর থেকে বের হওয়ার সব রাস্তাতেই গাড়ি থামিয়টে তল্লাশি হচ্ছে। দুর্ঘটনার পরে মানুষ পুলিশের ভূমিকার ভুল ব্যাখ্যা করছে। সামাদের পরিবার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, দর্জির কাজ করে গত কয়েক দিন আগে মোটর বাইকটি কিনেছিলেন তিনি। নতুন গাড়ি সার্ভিস করাতে বসিরহাটের মৈত্রবাগানে গাড়ির শোরুমে যাচ্ছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন