কাজল মুন্সি
মায়ের সামনেই তিন ছেলের ঝগড়া শুরু হয়েছিল। থামাতে চেয়েও পারেননি মা। তাঁর চোখের সামনেই এক ছেলেকে পিটিয়ে-কুপিয়ে মেরে ফেলে পালাল দুই ভাই।
মঙ্গলবার রাতে মগরাহাটের শালকিয়া চালতাপাড়া মোড়ের মুন্সিপাড়ায় এই ঘটনায় নিহতের নাম কাজল মুন্সি (২৩)। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের বড় ভাই রমরুন দুই ছোট ভাই রাজা ও টিপুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সকলেই পলাতক। দেহ ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পরিবারের ছোট ছেলে কাজলের কাছে থাকতেন মা রহিমা। তিনি অবিবাহিত। কলকাতায় গাড়ি চালান। রান্নাঘর না থাকায় বাড়ির উঠোনেই রান্না করতেন তিনি। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা এ ভাবেই চলছিল।
কাজল মাকে বলেছিলেন, উঠোনের ওই অংশে পলিথিনের ছাউনি টাঙিয়ে নিলে কেমন হয়। এ কথা জানতে পেরে দিন পনেরো আগে দুই ছেলে আপত্তি তোলে। সে দিন দুই ভাই মিলে মা ও ছোট ভাইকে মারধর করে বলেও অভিযোগ। কাজলের মাথা ফাটে। ঘটনা থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। গ্রাম্য সালিশিতেও সমাধান হয়নি।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ কাজল বারান্দার বসেছিলেন। সে সময়ে রাজা ও টিপু ছোট ভাইয়ের উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। শাবল-কাটারি দিয়ে কাজলের মাথায় ও ঘাড়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়।
পুলিশ খবর পেয়ে গুরুতর জখম অবস্থায় কাজলকে উদ্ধার করে মগরাহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
রহিমা বলেন, ‘‘আমি বাধা দিতে গেলেও আমার কথা শোনেনি। চোখের সামনেই ছেলেটাকে মেরে ফেলল।’’ তিনি নিজেও খুন হয়ে যেতে পারেন বলে ভয়ে ভয়ে আছেন বলে জানালেন রহিমা।
ঘটনার সময়ে বাড়িতে ছিলেন বড় ভাই রমরুন। তাঁর দাবি, একটি ঘরে তাঁকে আটকে রাখে দুই ভাই। তারপরে হামলা করে কাজলের উপরে। সামনে গেলে তাঁকেও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল।