পড়ে রয়েছে গাছের গুঁড়ি, গর্ত পেরিয়েই যাচ্ছে গাড়ি

গুঁড়ির পাশে রাস্তায় বেশ কিছুটা অংশ জুড়ে বড় গর্ত তৈরি হয়ে আছে। বাসিন্দারা সেখানে বাঁশের চটা দিয়ে ঘিরে রেখেছেন। ওই বড় গর্তের পাশ দিয়ে চলছে ছোট বড় নানা ধরনের যানবাহন। এমনিতেই যশোর রোড সরু। দু’টি ট্রাক পাশাপাশি যাতায়াত করতে পারে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৭ ০২:৩৫
Share:

নজর-নেই: ঝুঁকি নিয়ে চলছে যাতায়াত। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

বছর খানেক আগে ঝড়ে যশোর রোড বা ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে থাকা একটি বড় গাছ ভেঙে পড়ে। সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ গাছের উপরের অংশ কেটে নিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করে দেন। কিন্তু গাছের গুঁড়ি এখনও একই ভাবে রয়ে গিয়েছে।

Advertisement

গুঁড়ির পাশে রাস্তায় বেশ কিছুটা অংশ জুড়ে বড় গর্ত তৈরি হয়ে আছে। বাসিন্দারা সেখানে বাঁশের চটা দিয়ে ঘিরে রেখেছেন। ওই বড় গর্তের পাশ দিয়ে চলছে ছোট বড় নানা ধরনের যানবাহন। এমনিতেই যশোর রোড সরু। দু’টি ট্রাক পাশাপাশি যাতায়াত করতে পারে না। ফলে ওই গর্তের কারণে সড়ক আরও সরু হয়ে গিয়েছে। এখন দু’টি ছোট গাড়িও পাশাপাশি যেতে পারছে না।

তবু বিপদের আশঙ্কা মাথায় নিয়ে রোজ পেট্রাপোল থানার ছয়ঘড়িয়া শান্তিপাড়া এলাকা দিয়ে শ’খানেক পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল সীমান্তে যাতায়াত করছে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রিবাহী বাসও চলছে। তবে যে সব চালকেরা আগে থেকে বিষয়টি জানেন, তাঁরা গাড়ির গতি কমিয়ে দেন। আর যাঁরা জানেন না, তাঁরা জোরে চালাচ্ছেন। স্থানীয় মানুষ গর্তটিকে মৃত্যুফাঁদ বলে মনে করেন এখন।

Advertisement

গর্ত বোজানোর আশ্বাস দিয়েছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বনগাঁ মহকুমার সহকারী বাস্তুকার জয়ন্ত চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, ‘‘দ্রুত ওই গাছের গুঁড়ি সরিয়ে দেওয়া হবে। গর্তগুলি মেরামত করার ব্যবস্থা করা হবে।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ওই গুঁড়ি না সরানোর জন্য ছোটখাটো কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। বাসিন্দারা ইতিমধ্যেই পেট্রাপোল থানার ওসি গোপাল বিশ্বাসের কাছে গুঁড়ি সরিয়ে রাস্তা মেরামত করার দাবি জানিয়ে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন। গোপালবাবু জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, দ্রুত গুঁড়ি তোলা না হলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

বনগাঁ শহরের বাটারমোড় থেকে ১ নম্বর রেলগেট এলাকা পর্যন্ত মাত্র এক কিলোমিটার পথে যশোর রোডের মাঝেও বড় বড় কয়েকটি গর্ত তৈরি হয়েছে। বৃষ্টিতে তা ডোবার আকার নিচ্ছে। গর্তের মধ্যে বাইকের চাকা পড়ে বাইক আরোহী উল্টে গিয়েছেন— এমন ঘটনাও ঘটছে।

বাসিন্দারা বিষয়টি নিয়ে এ বার ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছেন। তাঁদের কারও কারও কথায়, ‘‘গুঁড়ি সরানোর আশ্বাস এক বছর ধরে শুনে আসছি। এ বার না সরানো হলে আন্দোলনের পথে নামতে বাধ্য হব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন