রয়েছে স্তম্ভ জ্বলে না আলো। নিজস্ব চিত্র।
সেতুর উপরে বাতি কিন্তু মাসের পর মাস জ্বলে না। ফলে সন্ধে ঘনালেই দুষ্কৃতীদের উপদ্রব বাড়ছে বলে অভিযোগ। সেতু আবার খানাখন্দে ভরা। অন্ধকার সেতুতে জোরে গাড়ি চালাতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটারও আশঙ্কা থাকছে।
মথুরাপুর ২ ব্লকে মণি নদীর উপরে সেতুতে এ ভাবেই চলে যাতায়াত। বিডিও মোনালিসা তিরকে বলেন, ‘‘যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য আলোগুলি জ্বলছে না। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়েছি। সারানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রাস্তাটিও শীঘ্রই সংস্কার করা হবে।’’
২০০৮ সালে কঙ্কনদিঘি ও রায়দিঘির সংযোগকারী মণি নদীর উপরে প্রায় ৩০০ মিটার চওড়া কংক্রিটের সেতুটি নির্মাণ হয়েছিল। ওই সেতুটি হওয়ায় সুন্দরবনের প্রত্যন্ত বেশ কিছু এলাকা থেকে রায়দিঘি বাজারে সরাসরি গাড়িতে আসার সুযোগ তৈরি হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থারও উন্নতি হয়েছে। এক সময়ে ভুটভুটি করে মানুষ রায়দিঘি বাজারে আসতেন। যা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ ছিল। সেতু তৈরির পরে সেই সমস্যা মিটেছে বলে জানান বাসিন্দারা। রায়দিঘিতে রয়েছে গ্রামীণ হাসপাতাল, কলেজ, ব্লক অফিস। তা ছাড়াও, সরকারি-বেসরকারি বহু অফিসও রয়েছে এখানে। নিত্য প্রয়োজনে বহু মানুষকে প্রতিদিন রায়দিঘিতে আসতেই হয়।
কিন্তু সন্ধে নামলে সমস্যা হয় সেতু পারাপারে। অটো, মোটর ভ্যান, নানা ছোট গাড়ি চলে। কিন্তু প্রায় ৩০০ মিটার সেতুর উপরে আলো না না থাকায় মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকে না। সেতুর মাঝে কয়েকটি খাবারের দোকান বসে। ওই দোকানগুলি যতক্ষণ খোলা থাকে, সেটুকু আলোই ভরসা। কিন্তু দোকানের ঝাঁপ বন্ধ হলেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঢেকে যায় সেতু। মোটর বাইক, গাড়ির তবু হেডলাইট থাকে, কিন্তু সাইকেল আরোহীর সমস্যা বেশি। যাঁরা হেঁটে পারাপার করেন, তাঁদেরও ভোগান্তি হয়। অন্ধকার পিচ উঠে এবড়োখেবড়ো অন্ধকার সেতুতে ছোটখাট দুর্ঘটনাও ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নির্মাণের পরে আর ভাল করে সংস্কার হয়নি সেতুর। স্থানীয় বাসিন্দা সনৎ পুরকাইত ও সেতুর উপরের খাবারের দোকানদার বিজয় মণ্ডলেরা জানালেন, আলো না থাকার সুযোগ নিয়ে রাতের দিকে সেতুর উপরে মদের আসর বসায় ছেলেছোকরারা। দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বাড়ে। মহিলারা হেঁটে পারাপার করতে আতঙ্কিত বোধ করেন। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার ও আলো জ্বালানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা।