পর পর চারটি বাড়িতে চুরি দেগঙ্গায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট
একটি মন্দির ও চারটি বাড়ি থেকে নগদ লক্ষাধিক টাকা এবং সোনার গয়না চুরি করে পালাল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার শিমুলিয়া গ্রামে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হলেও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। একই ভাবে পঞ্চমীর রাতেও পাঁচটি বাড়িতে চুরি হয়েছিল। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও এখনও দুষ্কৃতীদের সন্ধান পায়নি পুলিশ। এ দিকে, এলাকায় একের পর পর এ ধরনে ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন রাতে এলাকার তিনটি বাড়িতে চুরি হয়। সহিদুল ইসলাম, আবু সালেম এবং আজিবর মণ্ডলের বাড়িতে দুষ্কৃতীরা ক্লোরোফর্ম স্প্রে করে তালা ভেঙে ঢোকে। টাকা, গয়না এবং জামাকাপড় লুঠ করে পালায়। এমনকী, ঘুমন্ত অবস্থায় আজিবরের স্ত্রীর কানের দুল পর্যন্ত চোরেরা নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ওই গ্রামে তিনটি বাড়িতে চুরি করার পর সেই দলটি কার্তিকপুর হসপিটাল রোডের পাশে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে একই ভাবে চুরি করে পালায়। সেই ব্যবসায়ী বলেন, “আলমারি ভাঙতে পারলেও লকার ভাঙতে পারেনি দুষ্কৃতীরা। তাই বড় রকমের ক্ষতি হয়নি।” ওই বাড়িতেই দুষ্কৃতীদের ব্যবহার করা হাতুড়ি ও লোহার রড পাওয়া যায়। এরপর তারা বেলেঘাটার কাছে কালীয়ানি বিল-সংলগ্ন একটি কালী মন্দিরের প্রণামী বাক্স থেকেও টাকা চুরি করে। মন্দিরের গেট খোলা থাকায় টহলদারি পুলিশের সন্দেহ হয়। বুধবার সকালে পুলিশ মন্দিরের পাশ থেকে ওই ভাঙা প্রণামীর বাক্সটি উদ্ধার করেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দোকান থেকে উদ্ধার প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ
গলায় নাইলনের দড়ির ফাঁস দেওয়া এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বুধবার বেলা আড়াইটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ শহরের চাকদহ বাসস্ট্যান্ডের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে মৃত ব্যক্তির নাম শম্ভু সাধুখাঁ (৫৩)। বাড়ি দীনবন্ধু নগর এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, কর্মসূত্রে দুবাইয়ে থাকতেন ওই ব্যক্তি। কিছু দিন আগে বাড়ি ফেরেন। স্থানীয় মার্কেটে তাঁর একটি দোকান আছে। বনগাঁ-চাকদহ সড়ক সম্প্রসারণের সময়ে রাস্তার পাশে থাকা ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের ওই মার্কেটে ঘর দেওয়া হয়েছিল। কিছু দিন আগে দোকান মালিকদের হাতে পুরসভার পক্ষ থেকে চাবি তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু মার্কেটটি এখনও চালু হয়নি। সোমবার সন্ধ্যা থেকেই শম্ভুবাবু নিখোঁজ ছিলেন বলে জানায় বাড়ির লোক। বাড়ির থেকে খোঁজাখঁুজি করেও তাঁকে না পাওয়ায় পুরসভায় খবর দেওয়া হয়। পুরসভা থেকে লোকজন এসে মার্কেটের তালা খুলে ওই ব্যক্তির দোকানে যান। দোকানের সামনে গিয়ে তাঁরা দেখেন, শাটারটি অর্ধেক খোলা। ভিতরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে শম্ভুবাবুর দেহ ঝুলছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। দেওয়ালে একটি সুইসাইড নোট সাঁটানো ছিল। এখনও পর্যন্ত ওই ব্যক্তির পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সুইসাইড নোটটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
আঁধারের গ্রাসে। ব্যারাকপুরে তোলা।
বর্ধমানে বিস্ফোরণ কাণ্ডের পরে নিরাপত্তা বেড়েছে পেট্রাপোল বন্দরে।
চলছে খানা-তল্লাশি। নির্মাল্য প্রামাণিকের তোলা ছবি।