চট্টগ্রামের দু’টি স্টিমার পাকড়াও
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
সুচেতা কৃপালানির হাতে ধরা পড়ে গেল আল্লাহার মালিক-২ এবং আনোয়ারা। সুচেতা হচ্ছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর নজরদার মোটরবোট। বাকি দু’টি বাংলাদেশের মাছ ধরা স্টিমার। উপকূলরক্ষী বাহিনী সূত্রের খবর, সুচেতা শনিবার সমুদ্রে নজরদারি চালানোর সময় ওই দুই বাংলাদেশি স্টিমারকে দেখতে পায়। সাগরদ্বীপ থেকে প্রায় ১১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে গভীর সমুদ্রে। স্টিমার দু’টি ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম থেকে মাছ ধরতে বেরোয়। মাছ ধরে এক সপ্তাহ পরে তাদের ফেরার কথা ছিল চট্টগ্রামে। কিন্তু বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা পেরিয়ে স্টিমার দু’টি বঙ্গোপসাগরের ভারতীয় এলাকায় ঢুকে পড়ে। দুই জলযানে ২৮ জন বাংলাদেশি ধীবর ছিলেন। কিন্তু কারও কাছে কোনও পরিচয়পত্র ছিল না। কোনও স্টিমারেই ওয়াকিটকি বা যোগাযোগ করার মতো অন্য কোনও যন্ত্র ছিল না। একটি স্টিমারে ১২০০ কিলোগ্রাম এবং অন্যটিতে ১০০০ কিলোগ্রাম মাছ পাওয়া গিয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় হদিসমেলার পরে রবিবার দু’টি স্টিমারকে ফ্রেজারগঞ্জে এনে পশ্চিমবঙ্গের জল-পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। উপকূলরক্ষী বাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, গত অক্টোবর থেকে এই নিয়ে ভারতীয় সমুদ্র এলাকায় মাছ ধরার অভিযোগে পাঁচটি বাংলাদেশি স্টিমার আটক করা হল। গ্রেফতার হয়েছেন ১০৬ জন বাংলাদেশি।
আংরাইল সীমান্তে এয়ারগান আটক
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ
রাতের অন্ধকারে চোরাপথে বাংলাদেশে পাচারের সময়ে বিএসএফ বেশ কিছু এয়ারগান আটক করল। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটার আংরাইল সীমান্তে। রবিবার সকালে আটক করা ৩১টি এয়ারগান বনগাঁ থানায় দিয়ে যায় বিএসএফ। পুলিশ ও বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে পাচারকারীরা বস্তায় করে এয়ারগানগুলি বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। সে সময়ে সীমান্তে পাহারারত জওয়ানেরা তা দেখতে পেয়ে তাড়া করেন। পাচারকারীরা বস্তা ফেলে রেখে পালায়। পুলিশ জানিয়েছে, এয়ারগানগুলি মূলত পাখি মারতে ব্যবহার হয়। কিন্তু তা দিয়ে ভয় দেখানোর কাজও করে দুষ্কৃতীরা। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এত দিন বনগাঁ মহকুমার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের ঘটনা ঘটলেও এয়ারগান পাচারের ঘটনা এই প্রথম সামনে এল।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিশু শিক্ষা কেন্দ্র এবং মাদ্রাসার শীতকালীন বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল রবিবার। এ দিন কল্যাণী এ ব্লকের খেলার মাঠে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি অর্চনা ঘোষ সরকার। সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বানী কুমার রায়। দৌড়-সহ মোট ২৮ টি বিভাগে জেলার প্রায় ৪০৩ জন পড়ুয়া এই প্রতিযোগিতায় যোগ দেয়।
প্রাণ হাতে যাতায়াত। শাসনের খড়িবাড়িতে এ ভাবেই অভ্যস্ত মানুষ। ছবি: সুদীপ ঘোষ।