অনাস্থা এনে সন্দেশখালি ২ পঞ্চায়েত সমিতির দলীয় সভাপতি এবং সহ সভাপতিকে সরিয়ে দিল তৃণমূল।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে সন্দেশখালি ২ পঞ্চায়েত সমিতির ২৩টি আসনের মধ্যে ১২টি পায় তৃণমূল, ৯টি সিপিএম এবং ২টি সিপিআই। পরে এক সিপিআই সদস্য তৃণমূলের যোগ দিলে তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করে। সভাপতি হন অষ্টমী সর্দার এবং সহ সভাপতি সামসুদ্দিন সাহাজি। সম্প্রতি তৃণমূলের বাকি সদস্যরা সভাপতি এবং সহ সভাপতির বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজ-সহ কয়েকটি অভিযোগ তুলে অনাস্থা আনেন। দিন কয়েক আগে সিপিএমের ৯ জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। মঙ্গলবার সেই অনাস্থার উপরে ভোট হলে ১৯-০ ব্যবধানে সভাপতি এবং ১৮-০ ব্যবধানে সহ সভাপতি পরাজিত হন। পাশ হয়ে যায় অনাস্থা।
এই ঘটনায় ফের প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের একাংশের দাবি, এলাকার উন্নয়নে গতি আনতেই সভাপতি এবং সহ সভাপতিকে সরানো হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা লক্ষ্মণ অধিকারী বলেন, ‘‘সভাপতি এবং সহ সভাপতি দলের কথা শুনছিলেন না। উন্নয়ন থমকে ছিল। তাই তাঁদের সরানো হল।’’ যদিও দলেরই এক জেলা নেতার দাবি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে এই ভাবে সরানো যায় না। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে আগে দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে জানাতে হয়। তাঁরা যা সিদ্ধান্ত নেন সেই অনুযায়ী কাজ হয়। এটাই দলের নিয়ম। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি। অষ্টমীদেবী বলেন, ‘‘আমাদের কেন সরানো হল বুঝতে পারছি না। আমরা চক্রান্তের শিকার।’’
ইভটিজার ধৃত। হাবরা শহরের মেয়েদের স্কুলগুলি শুরু ও ছুটির সময়ে ইভটিজারদের দৌরাত্ম্য নিয়ে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ ওঠে। সেই দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে পুলিশ পদক্ষেপ করাও শুরু করল। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ প্রফুল্লনগর বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে থেকে এক ইভটিজারকে গ্রেফতার করেছে।