Sand

অবৈধ বালি খাদান বন্ধে অভিযান

 অবৈধ ভাবে বালিকাটার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে অভিযান শুরু হয়। গত দু’দিন ধরে বাদুড়িয়ার বিভিন্ন বালিখাদানে অভিযান চালিয়ে ৩টি নৌকো, বালি কাটার মেশিন, পাইপ-সহ বেশ কিছু যন্ত্রাংশ আটক করা হয়েছে।  এ দিকে, বালি খাদানে পুলিশি অভিযানের পরে গ্রামের মানুষকে নানা ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

নির্মল বসু

বাদুড়িয়া শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:৪৭
Share:

পুলিশের অভিযান। বাদুড়িয়ায়। নিজস্ব চিত্র

বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামল পুলিশ। বাদুড়িয়ার ইছামতী নদীর পাড় সংলগ্ন বালি খাদানে অভিযান চালিয়ে গত দু’দিনে কয়েক লক্ষ টাকার বালি কাটার সরঞ্জাম আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। এলাকায় পুলিশি টহল চলছে।গত কয়েক মাস ধরে বাদুড়িয়ায় তারাগুনিয়া, লক্ষ্মীনাথপুর, কাঁকড়াসুতি, সরফরাজপুর-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ইছামতী নদীর উপরে বড় নৌকোয় হাইড্রোলিক মেশিন বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালি তুলে লরি বোঝাই করে পাচার হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠছিল। গ্রামের মানুষ স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানান। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, ইছামতী নদীর উপরে নির্মীয়মাণ সেতুর কাছাকাছি এলাকায় বালি তোলার ফলে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়ে কাজ না হওয়ায় তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন। এরপরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ ও ব্লক প্রশাসন।

Advertisement

অবৈধ ভাবে বালিকাটার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে অভিযান শুরু হয়। গত দু’দিন ধরে বাদুড়িয়ার বিভিন্ন বালিখাদানে অভিযান চালিয়ে ৩টি নৌকো, বালি কাটার মেশিন, পাইপ-সহ বেশ কিছু যন্ত্রাংশ আটক করা হয়েছে। এ দিকে, বালি খাদানে পুলিশি অভিযানের পরে গ্রামের মানুষকে নানা ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ভয়ে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চাইছেন না কেউই। বালি কাটার সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের একাংশের মতে, ইছামতীর গভীরতা অনেক কমে গিয়েছে। তাই নদীর মাঝে জমা বালি কেটে উপরে তুললে তেমন কোনও ক্ষতি হবে না। তা ছাড়া, এই পেশায় কয়েকশো শ্রমিক, গাড়িচালক জড়িত। তাই আইনি জটিলতা কাটিয়ে এখানে বালি তোলার বৈধ অনুমতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

পুলিশ ও ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামবাসীদের কাছ থেকে অবৈধ বালি কাটার লিখিত অভিযোগ পেয়ে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর, বিডিওর প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ তদন্তে নামে। বাদুড়িয়ার বিএলএলআরও সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘লকডাউনের মধ্যে বিভিন্ন দফতর বন্ধের সুযোগ নিয়ে অবৈধ বালি খাদানগুলি গজিয়ে উঠেছিল। বেপরোয়া ভাবে বালি তোলা চলছে। যন্ত্রাংশ আটক করা হয়েছে। পাচারকারীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে সব রকম আইনি পদক্ষেপ আমরা করব।’’ তাঁর দাবি, চাপের মুখে অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হবে লোকজন। ফের খাদান চালু হলে অভিযান হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

ইছামতী বাঁচাও কমিটির সদস্য রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অবৈধ ব্যবসায়ীদের জন্য শুধু ইছামতীই নয়, বিভিন্ন নদীর পাড় ভেঙে ক্ষতি হচ্ছে। গ্রামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিচ্ছে। অবৈধ খাদান বন্ধ করা প্রয়োজন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন