ঝড়ে প্রাণ গেল শিশুর, নষ্ট ফসল

ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে মৃত্যু হল সাত বছরের এক শিশুর। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বাগদার চোয়াটিয়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির নাম ঈশান বিশ্বাস। সে স্থানীয় মাথাভাঙা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাগদা ও বনগাঁ শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৩৯
Share:

ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে মৃত্যু হল সাত বছরের এক শিশুর। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বাগদার চোয়াটিয়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির নাম ঈশান বিশ্বাস। সে স্থানীয় মাথাভাঙা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বাড়ির মধ্যে মিটসেফের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল ঈশান। ঝড়ের সময়ে একটি ডাল ভেঙে টিনের ছাউনির উপরে পড়ে। মিটসেফটি ঈশানের গায়ে উল্টে পড়ে। মা-দিদিরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন ঈশানকে।

এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। স্থানীয় বিধায়ক দুলাল বর ওই বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখা করেন। ঈশানের বাবা বাবলু বেঙ্গালুরুতে কাজ করেন। খবর পাঠানো হয়েছে তাঁকেও।

Advertisement

অন্য দিকে, এ দিনই বিদ্যুতের খুঁটি চাপা পড়ে গুরুতর জখম হন বনগাঁর ট্যাংরা গ্রামের বাসিন্দা পরিতোষ বিশ্বাস। তাঁকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঝড়ের সময়ে সাইকেল চালিয়ে বাজারে যাচ্ছিলেন তিনি।

ঝড়ের তাণ্ডবে বনগাঁ ও বাগদা ব্লকে কলা ও পেঁপে চাষের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু গাছ ভেঙে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। জলের দরে কলা ও পেঁপে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।

বনগাঁ ব্লকের চাঁদা এলাকার চাষি রঞ্জিত দাসের সাড়ে তিন বিঘে জমিতে পেঁপে চাষ করেছিলেন। ঝড়ে তাঁর সব গাছ ভেঙে গিয়েছে। সোমবার দুপুরে খেতে দাঁড়িয়ে রঞ্জিতবাবু বললেন, ‘‘গত হাটেও কেজি প্রতি পেঁপে বিক্রি করেছি ১৮ টাকায়। সোমবার গাঁড়াপোতার হাটে সেই পেঁপে বিক্রি করতে হল মাত্র ৫ টাকা কেজিতে।’’

চাঁদা, গাঁড়াপোতা, কমলাপুরের মতো বহু গ্রামের ছবিটা একই রকম। চাষিরা জানালেন, প্রতি বছর চৈত্র মাস থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত পেঁপের ভাল দাম থাকে। খেতে একবার পেঁপে লাগালে তিন বছর পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। এক বিঘে জমি থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হয় পেঁপে বিক্রি করে। কিন্তু এ বার সব শেষ হয়ে গেল। পেঁপে বেশি দিন বাড়িতে রেখে দিলে নরম হয়ে যাবে। সে কারণে মজুত রেখে ধীরে ধীরে বিক্রিও করা যাবে না। রতন সাহা দু’বিঘা জমিতে কলা চাষ করেছিলেন। সব গাছ কোমর ভেঙে পড়েছে। এক কাঁদি কলা ৬০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে রতনবাবুকে। কিন্তু কলা পুষ্ট হতে এখনও একমাস বাকি।

তিল চাষেও কমবেশি ক্ষতি হয়েছে। কৃষি দফতরের কর্তারা এলাকায় গিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সরেজমিনে খতিয়ে দেখা শুরু করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন