জখম শিশু। নিজস্ব চিত্র।
গরম ভাতের থালায় পড়ে মুখ পুড়ে গেল বছর দেড়েকের এক শিশুকন্যার। স্থানীয় সূত্রে খবর, নাজিরা পরভিন নামে ওই শিশুটির মা-বাবার মধ্যে এ দিন অশান্তি চলছিল। তার পরেই শিশুটিকে গরম ভাতের মধ্যে ফেলে দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে স্ত্রীর বিরুদ্ধে সোমবার দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন স্বামী। যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ স্ত্রী। তাঁর দাবি, অসাবধানতাবশত ভাতের থালায় শিশুটি পড়ে যায়। এর পরে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে মারধর করে ঘর থেকে বার করে দেয় বলে পাল্টা অভিযোগ জানিয়েছেন স্ত্রী। পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর তিনেক আগে দেগঙ্গার পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা রেহনারার সঙ্গে বেড়াচাঁপার কাউকেপাড়ার নাজির হোসেনের বিয়ে হয়। নাজিরের অভিযোগ, ‘‘শুক্রবার সকালে স্ত্রী বাপের বাড়ি যেতে চায়। নিষেধ করলে অশান্তি বাধে। সেই রাগে স্ত্রী গরম ভাতের থালায় নাজিরার মুখ চেপে ধরে। পরে বাপের বাড়ি চলে যায়।’’ অন্য দিকে এ দিন রেহনারা জানান, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়শ তাঁর উপরে অত্যাচার করত। তিনি বলেন, ‘‘পা পিছলে যাওয়ায় থালায় বাড়া ভাত-তরকারির উপরে মেয়ে পড়ে গিয়ে মুখ পুড়ে যায়। কোনও কথা না শুনে স্বামী আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।’’
পুলিশ জানায়, নাজিরার চোখ দু’টি অল্পের জন্য রক্ষা পায়। শিশুটিকে প্রথমে ধান্যকুড়িয়া হাসপাতাল পরে নার্সিংহোমে চিকিৎসা করাতে হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তার চোয়াল ও চোখের পাশে পুড়ে গিয়েছে।