ট্রাক্টরের ধাক্কায় মৃত্যু শিশুর, আগুন 

ঘটনার খবর পেয়ে জীবনতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠি চালাতে গেলে উত্তেজিত জনতার সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৯ ০২:০৫
Share:

ঘটনার-পর: আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ট্রাক্টরে।(ইনসেটে) পঞ্চমী। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা

মাটিবোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় মৃত্যু হল বছর চারেকের এক শিশুকন্যার। বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে জীবনতলার নাগরতলায়। এর পর উত্তেজিত জনতা দু’টি ট্রাক্টরে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়।

Advertisement

ঘটনার খবর পেয়ে জীবনতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠি চালাতে গেলে উত্তেজিত জনতার সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরে এসডিপিও ক্যানিং দেবীদয়াল কুণ্ডু এবং সিআই ক্যানিং সৌম্যশান্ত পাহাড়ির নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন বেলা ১১টা নাগাদ নাগরতলা প্রাথমিক স্কুলের সামনে নিজের বাড়িতে মেয়ে পঞ্চমী নস্করকে (৪) নিয়ে বসেছিলেন মা অপর্ণা। স্কুল থেকে দেওয়া খিচুড়ি খেতে খেতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তার পাশে চলে আসে পঞ্চমী। সে সময়ে একটি মাটিবোঝাই ট্রাক্টর পিছনের দিক থেকে এসে চাপা দেয় ওই শিশুকে। শিশুর চিৎকারে আশপাশের মানুষজন এসে তাকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পঞ্চমীর মৃত্যুর খবর এলাকায় এসে পৌঁছতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

পুলিশ জানিয়েছে, ততক্ষণে ঘাতক ট্রাক্টরটি রেখে চালক পালিয়ে গিয়েছে। ওই রাস্তায় চলা আরও চারটি ট্রাক্টর আটক করেন এলাকার মানুষজন। দু’টি ট্রাক্টরে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ঘটনার খবর পেয়ে জীবনতলা থানার পুলিশ এলে তাঁদেরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মানুষ। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকার মানুষের দাবি, জনবসতিপূর্ণ এই এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণ করুক প্রশাসন। বিশেষ করে স্কুলের সময়ে এলাকায় পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হোক। রাস্তায় হাম্প তৈরির দাবিও জানান তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন