আতঙ্ক এখনও পিছু ছাড়তে চাইছে না পানিগোবরার বাসিন্দাদের। ফের দুষ্কৃতী হামলার ভয়ে এখনও বেশির ভাগ মানুষই গ্রামছাড়া। তবু তারই মধ্যে অগ্নিদগ্ধ গ্রামে শুরু হয়েছে পোড়া সরঞ্জাম পরিষ্কারের কাজ। এ সবের মধ্যে এসে পড়েছে রমজান মাস। ধর্মপ্রাণ সংখ্যালঘু মানুষের রোজা পালনের দিন। কিন্তু তাতেও বিঘ্ন ঘটায় ক্ষুব্ধ অনেকেই।
প্রতিবেশী রাজবেড়িয়া গ্রামের ত্রাণ শিবির চলছে এখনও। বুধবার ওই শিবিরে ত্রাণ নিয়ে এসেছিলেন কংগ্রেস নেতা ঋজু ঘোষাল, মনোজ চক্রবর্তী প্রমুখ। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নির্দেশেই তাঁরা গ্রামে এসেছেন বলে জানালেন ঋজুবাবু। আজ, বৃহস্পতিবার গ্রামে আসার কথা সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, কংগ্রেস আব্দুল মান্নানের।
বসিরহাটের মহকুমাশাসক নীতেশ ঢালি বলেন, ‘‘প্রশাসনের পক্ষে কেবল ঘর করাই নয়, দুর্গতদের নিরাপত্তার সব রকম আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ এখনও গ্রামের বাইরে থাকলেও বড় অংশ স্কুলের ত্রাণ শিবিরে আসছে।’’ এ দিনই এসডিপিও শ্যামল সামন্ত, আইসি দেবাশিস চক্রবর্তী, বসিরহাট ২ বিডিও বৈদ্যনাথ হেমব্রম পানিগোবরায় আসেন। দুর্গত মানুষের মাথা গোঁজার জন্য ১৪টি ছাউনি করা হয়। গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় প্রাথমিক স্কুলে সরকারি ত্রাণশিবিরে ১৪৫ জনের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। বিডিও বলেন, ‘‘আগুনে বেশির ভাগ মানুষের সর্বস্ব পুড়ে গিয়েছে। তাঁদের সরকারি ত্রাণশিবিরে আসার জন্য বলা হচ্ছে। তা না হলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা, জায়গা নির্ধারণ এবং ক্ষতির পরিমাণ স্পষ্ট হচ্ছে না।’’